এস এম নাহিদুর রহমান: ঘটনাটি আজ শুক্রবার সকাল ১১ টার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দির গৌরীপুরে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে একটি বাস ডোবায় পড়ে যায়। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার কনস্টেবল পারভেজ মিয়া তখন রাস্তায় ট্রাফিক সামলাতে ব্যস্ত। অবস্থার ভয়াবহতা ভেবে নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করেই পুলিশের এই ভারী ভারী পোশাক নিয়েই পচা ও গন্ধযুক্ত ময়লা ডোবার পানিতে লাফিয়ে পড়েন পারভেজ। একে একে গাড়ির জানালার গ্লাস গুলো ভেঙ্গে দেন যেন সহজে গাড়ির যাত্রীরা বেরিয়ে আসতে পারে। এরপর নিজেই চলে যান গাড়ির ভেতর। ডুব দিয়ে বের করে আনেন ৭ মাসের এক শিশুকে। গাড়ির ভেতর আটকে পড়া ৫ নারীসহ ১০/১২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় জনগণও তাঁকে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন।
কনস্টেবল পারভেজ মিয়ার সাহসিকতায় কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ ১০ হাজার টাকা, স্থানীয় পেন্নাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৫ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষনা করেন। এই ১৫ হাজার টাকা দিয়ে পারভেজ কি করবেন জানিনা। বাড়িতে পাঠালে বড় জোড় একমাসের বাজার খরচ হতে পারে। কিন্তু যে ঝুকিটা নিলেন তাতে জীবনটা হারালে ওই পরিবারটা হয়তো ১৫ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারত না। পুলিশের চাকরিতে কনস্টেবল পোস্টটা অনেক ছোট্ট। কিন্তু ছোট্ট চাকরির ছোট্ট সুবিধায় আটকে থাকেননি তিনি। প্রমাণ করেছেন অনেক পুলিশ আসলেই জনগণের বন্ধু।
অনটপিকঃ কুমিল্লা জেলার পুলিশভাগ্য সত্যি অনেক ভালো। ব্যাক্তিগতভাবে কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন সহ কয়েকজন পুলিশকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ কয়েছে আমার। নিজ চোখকেতো আর অবিশ্বাস করতে না। এমন সৎ এবং দায়িত্বশীল পুলিশ কুমিল্লা আর কখনো পেয়েছে কিনা জানিনা।
লক্ষ্মীপুরের জনগণের অনুভুতি: এস এম নাহিদুর রহমানের আবেগ মিশ্রিত এ লেখাটি লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের ফ্যান পেইজে পোস্টের পর পরই মাত্র ১ ঘন্টায় প্রায় ৪০ হাজার পাঠক এ লেখাটি ভিউ করে এবং শতশত কমেন্ট পড়তে শুরু করে।অনেকেই লেখেন পুলিশের কাজ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও মাত্র একজন নগণ্য পুলিশের কাজে যে পুরো পুলিশের মুখ উজ্জল হয় এটা সে উদহারণ মাত্র।
কনস্টেবল পারভেজ মিয়া প্রতি লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের শ্রদ্ধা।
0Share