লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জনহিতৈষী ব্যক্তি (ফায়েল খায়ের) দানে নির্মিত ২টি আধুনিক স্কুল কাম-সাইক্লোন সেল্টার হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইএসডিবি) এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ সাইক্লোন সেল্টার ২টি হস্তান্তর করে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ফায়েল খায়ের কর্মসূচির লিড পোর্টফোলিও ম্যানেজার ড. নিজাদ মোহাম্মদ সুবেই, কর্মসূচির কার্যক্রম পরিচালক সূফী মুস্তাক আহমেদ, কর্মসূচীর প্রকল্প পরিচালক(আইএমসি) পল নরম্যান বার্ড।
এসময় বক্তারা বলেন, এ সেল্টারগুলো হস্তান্তরের মাধ্যমে উপকুলীয় এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরন হলো। এই প্রোগ্রামের প্রতিটি আধুনিক সাইক্লোন সেল্টারে ২৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদানে সহায়ক হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ২ হাজার মানুষ ও ৫ শত গবাদী পশু একেকটি ভবনে আশ্রয় নিতে পারবে
এ সময় নব নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার কাম বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা কমিটি, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কর্তকর্তা এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রামগতির চর আবদুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা এবং চর পোড়াগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিত ২টি স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টারের দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে হস্তান্তর করা হয় এবং বিদ্যালয় কমিটির প্রতিনিধির হাতে চাবি তুলে দেয়া হয়।
জানা যায়, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ নিজের নাম প্রচার না করার শর্তে বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দান করেন। সেই অর্থের ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে উপকুলীয় অঞ্চলে ৩৪টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন সেল্টার নির্মান করা হয়। বাকী ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যার রাজস্ব দিয়ে ভবনগুলোর রক্ষনাবেক্ষনসহ ক্ষতি গ্রস্থদের কৃষিসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা হবে। স্কুল-কাম-সাইক্লোন সেল্টার নির্মান প্রকল্পের নাম দেয়া হয় ফায়েল খায়ের। ওই প্রকল্পের অধীন রামগতির এ দুটি ভবন নির্মিত হয়।
0Share