করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, হাজার হাজার কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতব্যক্তির কবর দেয়া বা সৎকারের মতো কাজেও হাত দিয়েছে লক্ষ্মীপুরের কিছু সাহসী তরুণ ও যুবকদের দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন।
সরকার ও রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি এ সামাজিক সংগঠনগুলোর কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে পুরো জেলায়। তাদের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিদিন অনেক তরুণ নতুন করে জড়িয়ে পড়ছেন সামাজিক কাজে।
করোনাকালে লক্ষ্মীপুরের যুবক ও তরুণদের দ্বারা পরিচালিত সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে যেগুলোর কাজ লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশে প্রশংসা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে এমন অনেকগুলো সংগঠনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংগঠন হচ্ছে, স্বপ্ন নিয়ে, লক্ষ্মীতারুণ্য, সবুজ বাংলাদেশ, আমরা রায়পুর, নন্দন ফাউন্ডেশন, হেলপিং হ্যান্ড বাংলাদেশ ইত্যাদি।
করোনাকালে লক্ষ্মীপুরের স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনগুলোর কাজ নিয়ে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু করেছে। আজ শুরুতে তুলে ধরা হয়েছে রামগতির যুবক আশ্রাফুল আলম হান্নান পরিচালিত “স্বপ্ন নিয়ে’’ এর কার্যক্রমের সবিস্তার। অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলো তথ্য দিয়ে সহযোগীতার অনুরোধ রইল।
২৭শ পরিবারে খাদ্য দিয়েছে “স্বপ্ন নিয়ে”
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ২ হাজার ৭শ অসহায় পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন নিয়ে’। গত ৬ এপ্রিল থেকে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে এই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল, চাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াঁজ , সেমাই, চিনি, ময়দা ও সাবান।
এছাড়াও সংগঠনটি রামগতি ও কমলনগরের নন-এমপিও ৪৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং এতিম খানা) ১২০ জন আয়বঞ্চিত অস্বচ্ছল শিক্ষকের পাশে এবং ২১ বিধবাকে দিয়েছে রমজানের এক মাসের খাদ্য সহায়তা ।
স্বপ্ন নিয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, করোনার কারণে প্রান্তিক মানুষ কর্মহীন হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। এই বিপদের মুহূর্তে কিছু হৃদয়বান মানুষদের সহযোগিতায় এসব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
এরআগে সংগঠনটি ৯০ জন চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের দিয়েছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)। জনসাধারণের জন্য ১২টি হ্যান্ডওয়াশ ব্লক স্থাপন, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাাভস, হ্যান্ডওয়াশ সামগ্রী ও লিফলেট বিতরণ, স্প্রের মাধ্যমে জীবানুনাশক ছিটানো, দোকানের সামনে দূরত্ব চিহ্ন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং ও সাবান বিতরণ, বিভিন্ন স্থানে ব্যানার স্থাপনসহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কাজ করছে স্বপ্ন নিয়ে।
করোনাকালীন সময় ছাড়াও অন্যান্য সময় নানা ভাবে সামাজিক কাজে যুক্ত ছিল স্বপ্ন নিয়ে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে স্বপ্ন নিয়ের উদ্ভোধন করেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
0Share