এমআর সুমন: ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত ১০ জেলের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৬ এপ্রিল) উপজেলা চত্বরে উপজেলা মৎস্য বিভাগের আয়োজনে ১০টি গরু বিতরণ করা হয়। মার্চ এবং এপ্রিল এ দু’মাস মেঘনা নদীতে যে কোন ধরনের মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে বলেই এমন উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্জন দাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, ইলিশ সম্পদ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক আবদুর সাত্তারসহ প্রমুখ।
চরবাংশী ইউনিয়নের জেলে গনি সর্দার, হারুন গাজী ও আলম তালুকদার বলেন, ‘পেটের দায়ে নদীতে বেন্দি জাল (বেহুন্দি) দিয়া মাছ ধরি। অভিযান চালাইলে পলাইয়া থাহি, হের পরও পোলাপানের মোহের দিগে চাইয়া মাছ ধরতে যাই। এ্যাহন আর অবৈধভাবে জাল দিয়া মাছ ধরমু না। মৎস্য অফিস দিয়া যে বাছুর গরু দেছে, হেইয়া পালমু। নিজেও কিছু একটা করার চেষ্টা করমু।’
রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, রায়পুরে প্রায় ৬ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জেলেকে বিকল্প পেশা সৃষ্টির সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের বিকল্প পেশা সৃষ্টির পাশাপাশি পরিবেশসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ইলিশের পাশাপাশি অনান্য মাছের উৎপাদন বাড়বে কয়েক গুণ। এই প্রকল্পের আওতায় রায়পুর উপজেলায় এরই মধ্যে ১০ জেলেকে একটি করে বাছুর দেওয়া হয়েছে।
0Share