পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার পাওয়ায় রাইজিংবিডির উপকূলবিষয়ক প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম মন্টুকে সংবর্ধনা দিয়েছে রাইজিংবিডি পরিবার।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয়ে তার হাতে সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও রাইজিংবিডির প্রকাশক এস এম জাহিদ হাসান এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক উদয় হাকিম।
রাইজিংবিডির সম্পাদক নওশের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান বার্তা সম্পাদক খান মো. শাহনেওয়াজ, ওয়ালটনের মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস, রাইজিংবিডির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিলটন আহমেদ, দৈনিক খোলা কাগজের সম্পাদক ড. কাজল রশিদ শাহীন, লাস্টবিডি নিউজের সম্পাদক আলিমুজ্জামান হারুন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন রাইজিংবিডির ফিচার সম্পাদক তাপস রায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম জাহিদ হাসান উপকূলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘উপকূলের মানুষ শত প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন। তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। নদীভাঙন, পানির লবণাক্ততা, খাদ্যসংকট সেখানে প্রকট। এই বিষয়গুলো খুব গুরুত্ব দিয়ে গণমাধ্যমে আসা উচিত।’
‘এসব প্রান্তিক মানুষের কথা তুলে ধরতেন প্রখ্যাত চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন। তার পথ ধরে আজকে রফিকুল ইসলাম মন্টুর এই অর্জন। এতেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না, মন্টুর মতো রাইজিংবিডির সাংবাদিকদের এই অর্জনে উৎসাহিত হয়ে সৃষ্টিশীল কাজ করতে হবে, যার জন্য পরবর্তী প্রজন্ম তাকে আজীবন মনে রাখবে,’ বলেন রাইজিংবিডির প্রকাশক।
উদয় হাকিম বলেন, উপকূলবাসীর জীবনচিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম মন্টু গতানুগতিক সাংবাদিকতার বাইরে এসে ব্যতিক্রম নজির স্থাপন করেছেন। আমি নিজে সুবর্ণচরে গিয়ে দেখেছি, উপকূলবাসীর দুর্দশা। সেগুলোই খুব সুন্দর করে রাইজিংবিডিতে ফুটিয়ে তুলেছেন মন্টু। তিনি যে পুরস্কার পেয়েছেন সেটি অনেক বড় পুরস্কার। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে রাইজিংবিডি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের এক নম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। রাইজিংবিডির সাংবাদিকদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
রফিকুল ইসলাম মন্টু উপকূলে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, উপকূলবাসীর হাসি বলতে কিছু নেই, সেখানে সর্বত্রই দুঃখ-দুর্দশার প্রতিচ্ছবি। আমি ১৬ জেলার উপকূলে ঘুরে ঘুরে দেখেছি, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিলে গেছি; দেখেছি তাদের জীবন কত কঠিন। এই বিষয়গুলোই আমি আমার লেখনিতে তুলে ধরেছি।
তিনি বলেন, আমি চেয়েছি, গতানুগতিক সাংবাদিকতার বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রম কিছু করার। এই পরিকল্পনা সেই ছোট্টবেলা থেকে। তখন চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের লেখার খুব ভক্ত ছিলাম আমি। তার প্রতিবেদনের পেপার কাটিং আমি আমার খাতার মধ্যে রাখতাম, পড়তাম। তাকে অনুসরণ করেই আমি প্রান্তিক মানুষের কাছে গিয়েছি।
সংবর্ধনা পেয়ে রাইজিংবিডির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, অনেক গণমাধ্যমে কাজ করার সময়কালীন অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু কখনো এইভাবে কাজের স্বীকৃতি পাইনি। বিষয়টি আমাকে বিমোহিত করেছে, কৃতজ্ঞ করেছে। এর মাধ্যমে যেমন উৎসাহিত হয়েছি, তেমনি দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
উপকূলের খবর লিখে দ্বিতীয়বারের মতো ‘পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার ২০১৮’ পেয়েছেন উপকূল-অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও রাইজিংবিডির উপকূলবিষয়ক প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম মন্টু। শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমে প্রকাশিত ‘ডিজিটাল উপকূল’ শিরোনামে আট পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য অনলাইন সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে তিনি এ পুরস্কার পান। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি এ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) ও এটুআই যৌথভাবে ২০১৫ সাল থেকে এ পুরস্কার দিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসাবে এ পুরস্কার দেওয়া হয়
0Share