রফিকুল ইসলাম মন্টু: এই লেখাটি লিখতে গিয়ে যখন ল্যাপটপের আঙ্গুল চালাচ্ছি, তখন আমার চিন্তায় ভেসে উঠছে উপকূলে রিপোর্টিংয়ের নানান অভিজ্ঞতা। এই যেমন- কিভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলি? কিভাবে নোটবুকে তথ্য লিপিবদ্ধ করি? কিভাবে মাঠে যাই? কোথায় অবস্থান করি? কি সমস্যায় পড়ি? আরও অনেক কিছু। ‘উপকূল সাংবাদিকতা’ শব্দটা এখনও অনেকের কাছে নতুন। আমার কাছে এই শব্দটি যারা শুনেন, তাদের মধ্যে অনেকেই উপকূল সাংবাদিকতায় বেশ আগ্রহী। অনেক তরুণ সাংবাদিক আমার কাছে জানতে চান, কিভাবে শুরু করা যায় উপকূল সাংবাদিকতা? বাস্তবে কাজটি কেউ শুরু করলে হয়তো অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। পাবেন নতুন নতুন কলাকৌশল। যেমন পেয়েছি আমি। তবুও নতুনদের জন্য আমার অভিজ্ঞতা থেকে এখানে ১৫টি টিপস দিচ্ছি। হয়তো উপকূল সাংবাদিকতা শুরু করতে অনেকের কাজে লাগবে।
সাধারণ প্রস্তুতি:
উপকূল সাংবাদিকতা করতে প্রথমে সাধারণ কিছু প্রস্তুতি খুব প্রয়োজন। এরমধ্যে থাকবে মানসিক প্রস্তুতি। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন- আপনি কষ্ট সহ্য করতে পারবেন? ঝুঁকি নিতে পারবেন? কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পায়ে হাঁটতে পারবেন? ক্ষুধার কষ্ট সইতে পারবেন? যে কোন ধরণের বিছানায় ঘুমাতে পারবেন? এগুলো সবই যে আপনাকে করতে হবে, তা বলছি না। তবে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রথম ধাপে সবকিছু খোঁজখবর নিয়ে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহন করাটা খুবই জরুরি।
নিরাপত্তায় নজর আগে
উপকূল সাংবাদিকতাকে আমি বলি ‘যুদ্ধ সাংবাদিকতা’। না, কোন প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর সঙ্গে আপনি লড়াই করতে যাচ্ছেন না। উপকূল সাংবাদিকতায় আপনার অপজিশন প্রকৃতি। ঝড়ের মুখোমুখি হতে পারেন। উত্তাল ঢেউয়ে নৌকা, ট্রলার উল্টে যেতে পারে। ঝড়ের সময়ে যে ঘরে শেলটার নিয়েছেন, সেই ঘরটি ভেঙে পড়তে পারে। অচেনা স্থানে রাতে রাস্তা ভুলে যেতে পারেন। আমি এমন অনেক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। রাতে অচেনা রাস্তা ভুলে গেছি। সাপের ছোবলের মুখে পড়েছি। উত্তাল ঢেউয়ে দুর্যোগের মুখে পড়েছে ট্রলার। আপনাকে অবশ্যই মাঠে যাওয়ার আগে নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হবে। নিজেকে রক্ষা করতে হবে। সঙ্গে থাকা উপকরণ রক্ষা করতে হবে। রেইনকোর্ট, ছাতা, বড় পলিথিন ব্যাগ সঙ্গে রাখুন। সম্ভব হলে লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে রাখুন।
ভূগোল জ্ঞান অপরিহার্য
একজন দক্ষ উপকূল সাংবাদিকের ভূগোল জ্ঞান অত্যন্ত জরুরি। এই জ্ঞান মাঠে যাওয়ার আগেই রপ্ত করে নেওয়া উচিত। তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে এটা খুবই সহজ। উপকূলের সব এলাকার বৈশিষ্ট্য এক ধরণের নয়। জেলা থেকে জেলা, উপজেলা থেকে উপজেলার বৈশিষ্ট্যে বিস্তর ফারাক থাকে। সেই বিষয়গুলো জানা থাকা দরকার। প্রাকৃতিকভাবে এলাকাটি কেমন জেনে নিন। খোঁজ নিন, ওই এলাকার মানুষের জীবিকা কী? ওই এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, সামাজিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক তথ্য যতটা সঙ্গে রাখতে পারবেন, ততই রিপোর্টিংয়ে সুবিধা হবে। খুব সহজে স্টোরি লাইন পাবেন। আমার কথা বলতে পারি, বাংলাদেশের গোটা উপকূল আমার চেনা। বলে আমার পক্ষে উপক‚লের যেকোন স্টোরি লাইনআপ করা খুব সহজ হয়।
তথ্য সংরক্ষণের প্রস্তুতি
একবার মাঠে গিয়ে দেখি আমার ক্যামেরার মেমোরি কার্ড নেই। আমি সাধারণত মাঠ থেকে ফিরে ক্যামেরার ব্যাটারি, মেমোরি কার্ড খুলে রাখি। কিন্তু মাঠে যাওয়ার আগে চেক করিনি। ফলে সেদিন আমাকে মোবাইলের ক্যামেরায় ছবি তুলতে হয়েছে। সে কারণে মাঠে কর্মরত একজন সাংবাদিকের জন্য তথ্য সংরক্ষণ কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ন। মাঠে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে যন্ত্রপাতিগুলো চেক করে নিতে হবে। মাঠে যাওয়ার আগে কাজের ভলিউমের দিকে তাকান। বেশি কাজ করতে হলে এক্সার্টানাল হার্ডডিস্ক রাখুন সঙ্গে। স্টিল ছবি, ভিডিও সংরক্ষণে কোন অসুবিধা হবে না। মাঠে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভাবুন, কি পরিমাণ ম্যাটার রাখার প্রয়োজন হতে পারে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।
অ্যাসোসিয়েটদের যত্নে রাখুন
আমি কখনোই মাঠে একা যাই না। আমার সঙ্গে অনেক সঙ্গী। ক্যামেরা, ল্যাপটপ, মেমোরি কার্ড, এক্সার্টানাল হার্ডডিস্ক, মডেম এবং আরও অনেক কিছু। আপনি মাঠে গেলেও নিশ্চয়ই এরা আপনার সঙ্গে থাকবে। এরাই আপনার কাজের মূল সহযোগী। এদের সহযোগিতা ছাড়া আপনি কোন কাজই করতে পারবেন না। সুতরাং এদের সম্পর্কে আগের খোঁজ নিন। তারা ভালো আছে তো? সচল আছে তো? চার্জার নিয়েছেন? যে দ্বীপে বিদ্যুত নেই, সেখানে চার্জ কিভাবে হবে? ভেবে নিয়েছেন তো? যেখানে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে সমস্যা, সেখানে আপনি কীভাবে কাজ করবেন? এই প্রশ্নগুলোর জবাব নিজেই বের করুন। হোটেল, মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান, ফটো স্টুডিও, যেসকল স্থানে জেনারেটর চলে সেখানে চার্জ দিতে পারবেন। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই স্থানগুলো ঠিক করে নিন।
স্বাভাবিক আচরণ করুন
মাঠে গিয়ে মানুষের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ আমি একেবারেই পছন্দ করি না। ভাবুন, আপনি ওদের মতই একজন। স্টোরি লেখার বিশেষ একটি দায়িত্ব পেয়েছেন মাত্র। যার গল্প লিখছেন, ওর সঙ্গে ভালোভাবে মিশুন। তা না হলে সঠিক তথ্য পাবেন না। ওই এলাকার মানুষের নিকটে বসুন। ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করুন। পোষাকে অভিজাত্য পরিহার করুন। কেননা, শহুরের অভিজাত লোকদের কাছে প্রান্তিকের মানুষেরা আসতে ভয় পায়। এমন ঘটনা আমার ক্ষেত্রে অনেক বার ঘটেছে। আপনি সাধারণ পোষাকে ওদের কাছে বসলে আরও মজার তথ্য পাবেন। মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ুন। আপনার তথ্য সংগ্রহ সহজ হবে। স্বাভাবিক থাকুন কথা বলায়। স্বাভাবিক থাকুন আচরণে। স্বাভাবিক থাকুন পোষাকে।
মানুষ চেনা জরুরি
অচেনা কোন স্থানে গিয়ে মানুষ চেনা খুব কঠিন। তবুও আপনাকে চিনতে হবে। আপনি কার কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছেন? সে কি অপরাধী? আপনি কি তার বিরুদ্ধেই স্টোরি করতে গেছেন? অবশ্যই সকলের কাছ থেকে আপনি তথ্য নিবেন। কিন্তু গল্পের কোন স্থানে কোন মানুষটির অবস্থান, তা আপনার আগেই জেনে নিতে হবে। আপনি হয়তো কারও বিরুদ্ধে স্টোরি খুঁজছেন না, প্রকৃত তথ্য তুলে আনতে চাইছেন। প্রতিপক্ষ আপনার ওপর আক্রমন করতে পারে। আমি এমন ঘটনার শিকার হয়েছি একাধিকবার। যে স্টোরি আমি লিখছি, সেটা হয়তো অপরাধী ব্যক্তির বিপক্ষে যাবে না। তবুও তাদের ক্ষোভ। আবার কিছু মানুষের অকারণে মিডিয়ার প্রতি ক্ষোভ থাকে। সতর্ক থাকুন। মানুষ চিনে নিন।
যাতায়াত পথ চেনা জরুরি
ভূগোল জ্ঞান পর্বে যাতায়াতের কথা কিছুটা এসেছে। কিন্তু যাতায়াত পথ চেনা ভিন্ন। মনে করুন, রাজধানী শহর, বিভাগীয় শহর অথবা জেলা শহর থেকে আপনি মাঠে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেন। কোন পথে, কিভাবে যাবেন, সেটা ঠিক করে নিন। হয়তো একাধিক রুট আছে। সবচেয়ে সহজে যাওয়ার রুট বেছে নিন। কোথায় লঞ্চের পথ, কোথায় ট্রলারের পথ, কোথায় মোটরবাইকের পথ, আগে থেকেই জেনে নিন। কোথাও বিশেষ ভাবে যানবাহন ভাড়া করে নিতে হবে কীনা, সেটাও জেনে নিন। এগুলোর সঙ্গে আপনার বাজেট সম্পৃক্ত। সেভাবে আপনি প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আগে থেকে এইসব প্রস্তুতি থাকলে পথে কোন সমস্যায় পড়বেন না।
মাঠে অবস্থান করুন
মনে করুন, জেলা সদর থেকে খুবই কাছের একটি দ্বীপ। জেলা সদর থেকে সকালে গিয়ে বিকেলেই ফিরে আসা যায়। সেখানেই আপনি কয়েকদিন কাজ করবেন। আপনার কাছে দুটো অপশন- জেলা সদর থেকে প্রতিদিন গিয়ে কাজ করতে পারেন; অথবা দ্বীপে অবস্থান করতে পারেন। কিন্তু দ্বীপে থাকার কোন হোটেল নেই। কি করবেন? আপনি নিশ্চয়ই জেলা সদর থেকে গিয়ে কাজের পক্ষে। কেননা, দ্বীপে কয়েকদিন অবস্থান করা ঝামেলাপূর্ন। আপনি সেটা করতে চাইবেন না। কিন্তু আমি করি এর উল্টোটা। অর্থাৎ, দ্বীপে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেই। আবাসিক হোটেলে অবস্থানের চিন্তা বাদ রেখে স্থানীয় মানুষের বাড়িতে অবস্থানের প্রস্তুতি নিয়ে যাই। আপনিও সেটা করতে পারেন। মনে রাখবেন, কোন দ্বীপে রাতে, সকালে, সন্ধ্যার ছবি পেতে হলে আপনাকে দ্বীপে অবস্থান করতেই হবে। এতে মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্টতা বাড়ে। আরও বেশি তথ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা বাড়ে।
নেটওয়ার্কিং জোরদার করুন
প্রান্তিকের কোন মানুষের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পর আমরা সাধারণত তার সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখি না। আবার যখন সেই স্তরের একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলার দরকার হয়, তখন সমস্যা দেখা দেয়। আমি সেটা করি না। মাঠে গিয়ে আমি যাদের সঙ্গে কথা বলি, প্রায় প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার আমার নোটবুকে থাকে। স্টোরির প্রয়োজনে আপনি যত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, সকলের কন্ট্রাক্ট নোটভ‚ক্ত করুন। এই তালিকা থেকে মানুষগুলোর স্তর বিন্যাস করুন। একদল হয়তো তৃণমূল পেশাজীবী, আরেক দল হয়তো জনপ্রতিনিধি, আরেকদল হয় সরকারি কর্মকর্তা। এভাবে নিজের নেটওয়ার্ক যত বেশি বাড়বে, আপনি অতি সহজে স্টোরি পাবেন।
নোটবুক ব্যবহার করুন
সাংবাদিকতায় নোটবুকের ব্যবহার প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নোটবুক আমার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। আমি পুরানো নোটবুকগুলোর সঙ্গে কথা বলি। নোটবুকে কান পেতে বার বার প্রান্তিক মানুষের গল্পগুলো শুনি। কারও বাড়ি বদলের খবর, কারো সন্তান হারানোর খবর, কারো ফসল হারানোর খবর আমার নোটবুকে। আমি সেগুলোর দিকে ফিরে তাকাই। আপনিও সেটা পারবেন। যেকোন এলাকার তথ্য নোটবুকে লিপিবদ্ধ থাকলে নতুন কোন স্টোরিতে তা রেফারেন্স হিসাবে কাজে লাগতে পারে। নোটবুকে লেখার সময় স্থান ও তারিখ লিখুন। এতে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। পুরানো নোটবুক দেখে আপনি নতুন স্টোরি প্ল্যান করতে পারবেন।
ফলোআপ করুন
আমি উপকূলের অনেক মানুষকে ফলোআপ করি। মৎস্যজীবী, কৃষক, নারী, শিশু- এমন অনেকে আছেন আমার ফলোআপে। কিছু মানুষের নামে পৃথক নোটবুক আছে। তাদের সঙ্গে যতবার কথা হয়, ওই নোটবুকে লিখি সব কথা। এভাবে কিছু গ্রাম আমি ফলোআপ করি। কিছু দ্বীপ ফলোআপ করি। আমার ফলোআপে থাকা কোন গ্রাম, দ্বীপ নদীতে হারিয়ে গেছে। আমার ফলোআপে থাকা অনেক মানুষ স্থানান্তর হয়ে চলে গেছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। উপক‚ল সাংবাদিকতার জন্য ফলোআপ খুবই জরুরি। কেননা, এখানে পরিবর্তন অনেক বেশি। ফলোআপ স্টোরিগুলো কোন এলাকা, কোন মানুষ, কোন পরিস্থিতির ছবি আঁকতে পারে নিখুঁতভাবে। আপনাকেও ফলোআপ স্টোরির চর্চা করতে হবে।
সঠিক স্টোরি প্ল্যান করুন
আমরা সকলেই জানি, স্টোরি লেখার চেয়েও স্টোরির প্ল্যান করা গুরুত্বপূর্ন কাজ। জেনেশুনেও সে কাজটি আমরা সাধারণত করি না। নির্দিষ্ট স্টোরির জন্য আপনার প্ল্যান থাকতে হবে। একইসঙ্গে মাসিক এবং বার্ষিক সম্ভাব্য স্টোরি প্ল্যানও থাকতে হবে। মনে করুন, আপনার কাজের ক্ষেত্র উপক‚ল অঞ্চল। এই ক্ষেত্র থেকে বছরে আপনি কয়টা স্টোরি করবেন, কীভাবে করবেন- প্ল্যান থাকতে হবে। এজন্য বার্ষিক ও মাসিক ইস্যু ক্যালেন্ডার তৈরি করে নিতে পারেন। বর্ষাকালে আপনার এক ধরণের স্টোরি হবে। শুকনো মৌসুমে আরেক ধরণের স্টোরি হবে। এভাবে মৌসুম ভিত্তিক, এলাকা ভিত্তিক, ইস্যু ভিত্তিক ক্যালেন্ডার তৈরি করে নিতে পারেন। স্টোরি প্ল্যান করা সহজ হবে। স্টোরির প্ল্যান বা প্রস্তুতি না থাকলে ভালো স্টোরি আশা করা যায় না।
আপডেট থাকুন
স্টোরির প্রয়োজনে নয়, স্বাভাবিক খবর নিতে আমি প্রতিদিন উপক‚লের অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলি। এর কারণ একটাই, আপডেট থাকা। তবে এই চর্চার মধ্যদিয়ে দুইটি কাজ হয়ে যায়। প্রথমত, আমি আপডেট থাকছি; দ্বিতীয়ত, আমার নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হচ্ছে। আপনি যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, উপক‚লের খোঁজখবর আপনাকে নিয়মিত রাখতেই হবে। সমসাময়িক ঘটনাগুলো সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখুন। এগুলো হয়তো এখন কাজে লাগবে না। এক সময় এটাই আপনার মূল্যবান সম্পদ হবে। যত বেশি আপডেট থাকবেন, তত বেশি স্টোরি লাইন পাবেন।
আত্মবিশ্বাস রাখুন
যেকোন কাজেই আত্মবিশ্বাস থাকা খুবই জরুরি। উপক‚ল সাংবাদিকতা এর ব্যতিক্রম নয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি অবশ্যই পারবেন। আত্মবিশ্বাস জোরদার করুন। হতাশা ঝেরে ফেলুন। একটি ভালো স্টোরির রাস্তায় হাঁটুন। দেখবেন, আপনার রাস্তায় আরও অনেকে হাঁটবে।
লেখক: কোস্টাল জার্নালিজম স্পেশালিস্ট
ইমেইল: ri_montu@yahoo.com,
0Share