১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ দিবসটি গৃহীত হয়। পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়। প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘বাল্য বিবাহ বন্ধ করা। তবে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়।
কিন্ত ২৭ সেপ্টেম্বর ( সোমবার) ফেসবুক জুড়ে বহু ব্যবহারকারী তাদের নিজ নিজ সন্তানদের ছবি দিয়ে কন্যা শিশু দিবস পালন করেছে। অনেকে নিজ নিজ কন্যাদের কে নিয়ে নানা আবেগঘণ স্ট্যাটাসও দিয়েছে। এদের মধ্যে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ছিল।
লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখকে নিজে নিজে ভুয়া কন্যা শিশু দিবস পালন করেছে।
জানা যায়, মেয়েদের শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনী সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে এ দিবসের সূচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ‘কারণ আমি একজন মেয়ে’ নামক আন্দোলনের ফসল।
এই আন্দোলনের মূল কর্মসূচি হলো গোটা বিশ্বজুড়ে কন্যার পরিপুষ্টি সম্পর্কে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা। এই সংস্থার কানাডার কর্মচারীরা এই আন্দোলনকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে কানাডা সরকারের সহায়তা নেয়। কানাডাই প্রথম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনের প্রস্তাব দেয়।
পরে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করে থাকে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
0Share