লক্ষ্মীপুরের রামগতি শতভাগ বিদ্যুতায়িত একটি উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ ৭৯ লোকের বসবাস এবং ৬৫ হাজার বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন। গত এক সাপ্তাহ যাবত ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক গ্রাহক। দিনে ১০-১৫ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী পড়েছেন বিপাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোজার শেষের দিকে এসে এই বিদ্যুতের এমন বিপর্যয়ে ঈদের মার্কেটেও প্রভাব পড়েছে। সাধারণত ইফতারের পর থেকে সেহরির আগ পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে ঈদের বেচাকেনা বেশি থাকে। কিন্তু এরমধ্যেই বিদ্যুতের আসা যাওয়ার ভেলকিবাজী চলে। এতে আইপিএসের ব্যাটারি ঠিকমতো চার্জফুল হওয়ার যথাযথ সময় পাচ্ছে না। বিদ্যুতের এমন বিপর্যয়ে দোকানি-ক্রেতা উভয়েই অতিষ্ঠ। এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সর্বস্তরের জনগণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা আর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন অনেকেই। অনেকে এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন, অনেকে আবার সাংবাদিক ও নেতাদের খুঁজছেন, কেউ নানা ধরনের কথা লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
উপজেলার বিবির হাটের ইজিবাইক চালক মো. রাসেল জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিক মতো আমরা অটো রিকসা চার্জ দিতে পারছি না। এতে করে চার্জের কারণে ইনকামও কমে গেছে ।
কলেজ শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম, সুবর্না শারমিন লিজা জানায়, ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণে তীব্র গরমে পড়াশুনা করতে সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলার রামগতি বাজারের ওয়ার্কশপ দোকানের মালিক হুমায়ুন কবির বলেন, কয়েকদিন ধরে লোডশেডিংয়ের কারণে তার ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়াতে কিছ কিছু যন্ত্রাংশও বিকল হয়ে যাচ্ছে।
এ রামগতি জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. রেজাউল করিম জানান, উপকূলীয় উপজেলায় ৬৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য পিকআওয়ারে ১৪ মেগাওয়াট চাহিদা রয়েছে, কিন্ত বরাদ্দ পাই মাত্র ৫-৬ মেগাওয়াট। দিনের বেলায় প্রয়োজন ১০ মেগাওয়াট, বরাদ্দ পাই মাত্র ৩-৪ মেগাওয়াট। ফলে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। আরো বেশি বরাদ্দ পেলে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা-04-24
38Share