লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনরোধে “রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদির পন্ডিতেরহাট এলাকা ভাঙ্গন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ” প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে নদী পথে উপজেলার বালুরচর, চর আলগী এবং বয়ারচরের টাংকি বাজার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
এই উপলক্ষে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত দক্ষিণ বালুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব) আবদুল মান্নান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত-সচিব (পরিকল্পনা) এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী, রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আব্বাছ সুমন উপস্থিত ছিলেন।
পথসভায় প্রতিমন্ত্রী লে. কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত প্রচেষ্ঠায় আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নদীভাঙ্গা মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা ভেবে এই প্রকল্পের জন্য গত বছরের ১ জুন একনেক সভায় তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এখন এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) বাস্তবায়ন করবে। ঠিকাদার মূল কাজ শুরু করার আগে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত দক্ষিণ বালুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বালুরচর ইসলামিয়া মাদ্রাসা এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, বাজারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন থেকে রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনরোধে “রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদির পন্ডিতেরহাট এলাকা ভাঙ্গন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ” নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য গত বছরের ১ জুন একনেক সভায় তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অনুমোদন হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) দরপত্র আহবানসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এবছরে ৯ জানুয়ারী প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এই কাজে উদ্ভোধন করার কিছুদিন পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
misusahaniccon/11/22
27Share