সানা উল্লাহ সানু: পূর্ণিমার জোয়ারে সাগর থেকে ধেয়ে আসা জোয়ারের সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ মেঘনায় জেলেদের জালে ধরা পরছে। মাছ শিকারের পর মৎস্য ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজারে ছেয়ে যাচ্ছে এমনকি বাদ পড়ছে না ভোলার বাজারগুলোতেও। বাজারে দিন-দিন আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনই একটু-একটু করে দাম কমছে ইলিশের। তাই বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতে দেখা গিয়েছে। শুক্রবার কমলনগরের মতিরহাট ঘাটে গিয়ে পর্যাপ্ত বড় ইলিশ দেখা যায়।
স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানায় গত কয়েক বছর আগে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসেই অঝোরে বর্ষা শুরু হয়ে যেত, আর এ বছর বর্ষা শুরু হয়েছে বলতে গেলে আষাঢ় মাসের শেষে শ্রাবণ মাসের শুরুতে, ভাদ্র মাসের শুরু থেকে বেশ কয়েকদিন মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি আর আকাশে মেঘের গর্জন শুরু হলে নদীর স্রোতের গতি প্রচুর বেড়ে যায়, আর নদীর প্রচণ্ড স্রোতেই গভীর সমুদ্রের ইলিশ নদীতে ছুটে আসে। আর এ জন্যই হয়তো এবার ইলিশ দেরিতে ধরা পড়া শুরু হয়েছে। সরবরাহ বৃদ্ধি দেখে ক্রেতারা দাম কম বলছেন অভিযোগে বিক্রেতাদের অনেকের মাঝে কিছুটা হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। ইলিশের দাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বিক্রেতা বাসার মাঝি এবং কালাম জানান, এক মাস আগে প্রতিটি ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের মাছের হালি বিক্রি করেছি ৪-৫ হাজার টাকা আর এখন একই সাইজের এক হালি মাছ এক-দেড়হাজার টাকার বেশি বিক্রি করা যাচ্ছে না। ইলিশ ক্রেতা আমানত উল্যাহ বলেন, ৫টি ইলিশ মাছ কিনেছি ১ হাজার ৬শ টাকা দিয়ে। কদিন আগে কিনলে এ মাছের দাম পরত ৫ হাজার টাকা। লক্ষ্মীপুরের ইলিশ প্রাপ্তির বড় ঘাট কমলনগরের আড়তদার কবির হোসেন জানান, এক মাস আগে এ ঘাটে সর্বোচ্চ ২ হাজার মন মাছ এসেছে আর এখন গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার মণ পর্যন্ত মাছ এখানে কেনাবেচা হচ্ছে। ১৫-২০ দিন আগে যে ইলিশের মণ এখানে বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা দরে সে একই সাইজের ইলিশের মণ এখন বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ হাজার টাকা দরে। স্থানীয় ক্রেতাদের মাঝেও এখানে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। ইলিশ মাছের সবচেয়ে কম দাম লক্ষ্য করা গেছে কমলনগরের মতিরহাট এলাকায় । লক্ষ্মীপুর সদর থেকে ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এ জনপদ। এটি লক্ষ্মীপুর জেলার সবচেয়ে বড় মাছ ঘাট।
0Share