তাবারক হোসেন আজাদ: ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদ চুইয়ে-চুইয়ে পানি পড়ে এবং স্যাঁতসাঁতে পরিবেশ। টিউবওয়েল, আবাসন ও টয়লেট নেই, এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে ফাঁড়ি থানা পুলিশ। দুই ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন এক অফিসার সহ ১৫ জন পুলিশ। কিন্তু একাধিকবার এসব সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে জানান। রায়পুর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মধ্যেখানে অবস্থিত হাজীমারা এলাকার ফাঁড়ি থানা।
রোববার ( ৪ অক্টোবর) পাউবো কর্মকর্তা, পুলিশ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, দুই ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ মানুষের নিরাপত্তা, সড়ক ও মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ঠেকাতে ১৯৮২ সালে এ ফাঁড়ি থানা পাউবোর জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে থেকে ওই ভবনে ১ জন অফিসারের নেতৃত্বে ১৫ পুলিশ এ সেবা দিয়ে আসছে।
বর্তমানে যে ভবনে তারা থাকছেন সে ভবনটি ঝূকিপূর্ণ । তাতে বৃষ্টির সময় ছাদ চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। নেই ডিপ-টিউবয়েল, আবাসন ও টয়লেট। পাশের মেঘনা নদী অথবা অন্যের বাড়ীর টিউবয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়। এভাবেই গত ৩৫ বছর চরম মানবেতরভাবে প্রাশাসনিক কার্যক্রম ও মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। একাধিকবার এসব সমস্য সমাধান এবং একটি স্থায়ী ভবন নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানালেও তাদের কষ্ট যেন কেউ দেখছে না।
ফাঁড়ি থানার এস.আই সিরাজ মিয়া জানান, পানির জন্য খুব সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টির সময় ঝুঁকিপূর্ন ভবনের ছাদ চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। আবাসন ও জনবলের কারনে প্রায় ১ লাখ মানুষের সেবা দেওয়া কষ্টকর । গত কয়েকদিন আগে পুলিশ ও মানুষের জন্য একটি গোলঘর, রান্নাঘর ও হাজতখানা বানানো হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে এ ফাঁড়ি থানার সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই।
পাউবোর চাঁদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী রফিক উল্যা জানান, ১৯৬৮ সনে রায়পুর স্লুইজ গেইট নির্মানের পরে তার পাশেই রেষ্ট হাউজটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা ফাঁড়ি থানার কাযর্কক্রমের জন্য পুলিশকে দেওয়া হয়। আমার মতে পুলিশের পৃথক ভবন প্রয়োজন। সরকার যে কোন সময় তাদের সম্পদ নিয়ে যেতে পারে। তাই আরও অনুরোধ থাকবে পুলিশের জন্য আবাসন ও ভবন নির্মানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, “পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ” এ স্লোগানটি আমাদের সবারই জানার কথা। কিন্তু সকলে মিলে কাজ করে না। ফাঁড়ি থানায় ডিপ-টিউবয়েল দেওয়ার চেষ্টা করব। সবাইমিলে যে কোন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত বলে আমার মত।
রায়পুর থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, ফাঁড়ি থানার অবস্থা ভালো নয়। খুব কষ্ট করে তারা ওই অঞ্চলের সেবা করে যাচ্ছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা করা হবে।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান বলেন, সারাদেশেই পুলিশের অনেক সমস্যা। রায়পুর হাজীমার পুলিশ ফাঁড়ির থানার সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
0Share