লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:: ঢাকার মিরপুর থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মো: মুসলিমকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে আসছে সন্ত্রাসীরা। অপহরনের ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ রামঞ্জের ভোলাকোট ইউনিয়নের শাকতলা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হারুন নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তিনি স্থানীয় শাকতলা গ্রামের সেকান্দর মিয়ার ছেলে। অপহরনের ঘটনায় মূল হোতা বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জুয়েলকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
এ নিয়ে ব্যবসায়ীর স্ত্রী নারগিস আক্তার রামগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মুসলিমকে গত ৭ নভেম্বর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও হারুন ঢাকার মিরপুর থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে অপহরন করা হয়। এরপর রামগঞ্জে এনে তাকে আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতন করা হয়।
কয়েকদিন ধরে অপহরণকারীরা তার স্ত্রীর কাছে মোবাইল ফোনে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপন করে। তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ব্যবসায়ীর স্ত্রী স্থানীয় থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। ঘটনার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার এবং একজনকে আটক করে। অপহ্নত ব্যবসায়ী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন বিষামন্ডল গ্রামের প্রয়াত ছফি উল্যার ছেলে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোলায়মান চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত জুয়েল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে (জুয়েল) করতে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
0Share