নিজস্ব প্রতিবেদক: রামগঞ্জে একটি মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে অন্তত ৮ জনকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের মাসিমপুর বাংলা বাজারে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- একই এলাকার ওহিদ উল্যা (৫০), লাতু মিয়া (৩৫), মুনসুর (২৮), মান্নান (৩২), হাসান (৩৫) ও জসিম (৩২)। বাকি দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভতি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ওহিদ উল্যার অবস্থা অশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও আহতরা জানান, মাসিমপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির প্রবাসী দেলোয়ারের স্ত্রী কুলচুমা বেগমের ঘরে বুধবার রাতে প্রবেশ করে একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে জাহের। এ সময় ঘরে থাকা একটি ৩০ হাজার টাকা দামের স্যামসাং মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। পরে সকালে জাহের মোবাইলটি বাংলা বাজারের ফরিদের দোকানে বিক্রি করতে গেলে কুলচুমার দেবর ওহিদ উল্যা মোবাইলসহ জাহেরকে আটক করে মোবাইল নিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলে ঘটনাটি ওহিদ উল্যা, লাতু ও মুনসুর জাহেরের বাবা আব্দুল মান্নানকে জানালে তিনি উত্তেজিত হলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রবিবার রাতে ওহিদ উল্যা, লাতু, মুনসুর বাজারে গেলে আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে জাহেরের ভাড়াটে প্রায় ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত তাদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে অন্তত ৮ জনকে গুরুতর আহত করে। এ সময় ওহিদের কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও লাতুর ২২ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাসুদুর রহমান জানান, একটি মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে জাহেরের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা বাজারে এসে ওহিদ উল্যা, লাতু, মুনসুরের ওপর হামলা চালায়। তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এসে আরও ৫ জন আহত হন।
এ বিষয়ে আব্দুল মান্নান জানান, ছেলে নিজের মোবাইল বিক্রি করতে গেলে ওহিদ উল্যা তাকে চোর বানিয়ে আটক করে তার মোবাইল নিয়ে যায়। ঘটনাটি নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। কারও ওপর কোনো হামলা কিংবা কোনো টাকা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া জানান, ঘটনাটি থানা পুলিশকে কেউ অবহিত করেনি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share