সানা উল্লাহ সানু: প্রতি বছরের মত এবারও রমজানের শুরু থেকেই লক্ষ্মীপুর জেলা শহরসহ চন্দ্রগঞ্জ, রামগঞ্জ, রায়পুর, রামগতি এবং কমলনগরের বিভিন্ন হাট বাজারে বৈচিত্র্যময় দেশীয় ইফতার সামগ্রি বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় দোকানীরা বিভিন্ন মুখরোচক ইফতার সামগ্রী বানিয়ে চেষ্টা করছে রোজাদারদের আকর্ষণ করার। তাই প্রতিদিন বিকেলে বিভিন্ন হাটবাজারে একদিকে গরম তেলের ফুঁস ফুঁস শব্দ, অন্যদিকে ক্রেতাদের গম গম আওয়াজ দেখা যাচ্ছে । এর মধ্যে বিক্রেতাদের ডাকাডাকিতে মুখর হয়ে উঠেছে জেলার স্থানীয় হাট বাজারের ইফতারের দোকানগুলো।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নিয়মিত ইফতার বিক্রয়কারী দোকানের পাশাপাশি মৌসুমি ফল বিক্রেতা বেড়েছে প্রচুর, সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে ইফতার সামগ্রীর মূল্যও। একই সঙ্গে বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যাও।জেলার বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি এবং সংবাদদাতারা এসব দৃশ্যের কথা জানিয়েছে।
লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি এবং সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বরাবরের মত এবারও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হরেক রকমের ইফতারির পসরা নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ব্যাপী বিভিন্ন হাট বাজারের অলিগলিতে বসা স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানগুলোতে ইফতার বেচা-কেনার ধুম পড়েছে। আবার বড় রেস্তোরা গুলোতেও বিশেষ ধরণের মুখরোচক ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের ক্যাফে মদিনা, মোহাম্মদীয়া এবং রাজমহল রেস্তোরা নিজ দোকানের সামনে সামিয়ানাতে নিজস্ব ব্যানার লাগিয়ে ইফতারি বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম যতই হোক না কেন ইফতার কিনতে কেউ কার্পণ্যতা করছেন না । তাই দোকানিরা দেদারছে বিক্রি করছে হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী। জেলা শহরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি বড় রেস্তোরায় গিয়ে দেখা যায়, ইফতার বেচা-কেনা ব্যস্ততা তারা।
রমজানে লক্ষ্মীপুরের প্রচলিত বিভিন্ন ইফতার আইটেমের মধ্যে পুরো জেলার কমন ইফতারি জিলাপি, বুরিন্দা, ছোলা, পেঁয়াজু, আলু ও ডিম চপ, সবজি চপ, বেগুনী বিক্রি হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে কিছু রেস্তোরায় কাবাব, মুরগীর গ্রীল, বিরিয়ানি এবং বোরহানিসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হতে দেখা যায়।অনেক বিক্রেতা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে দোকানের এক পাশেই অস্থায়ী চুলা বসিয়ে তৈরি করছেন এসব ইফতারী। তাছাড়াও গ্রামের বিভিন্ন হাট বাজারের অলিগলিতে সব ইফতার দোকানেও দেখা যায় একই চিত্র।
অন্যদিকে এ জেলার প্রায় প্রতি বাসা-বাড়িতে ইফতারির জন্য ফিন্নি ফায়েস তৈরি হতে দেখা যায়। ইফতারিতে যত আইটেমই থাকুক না কেন, পুরো জেলাতে ঐতিহ্যবাহী গিগজ মুরি কারো বাদ পড়ে না। অনেক ক্ষেত্রে এ গিগজ মুরিই হয়ে উঠে ইফতারির প্রধান পণ্য।
ইফতার কিনতে আসা লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক কাজল কায়েস জানান , বাসায় যত ইফতারই তৈরি হোকনা কেন ইফতারের দোকানগুলোর হরেক রকম ইফতার থেকে প্রতিদিনই তার দু/একটি ইফতার কিনতে হয়। বাজারেরইফতার খেতে ও মন্দ না, তবে এসব ইফতারের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, এবার রমজানে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কাঠালের সরবরাহ প্রচুর। তাই রোজাদারেরা হরেক রকমের ইফতারির সাথে মৌসুমি ফল কিনতে ও ভুল করছে না বলে জানান কমলনগরের সাংবাদিক সাইফুল্লাহ হেলাল।
0Share