রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলায় ফেসবুকে ভুয়া আইডির ফাঁদে ফেলে দুই কিশোরকে ব্ল্যাক মেইল করে চাঁদার দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল আহসান রিপনসহ পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে।ফাদেঁ পড়া ফেসবুক প্রেমিক ইমুনুর রহমান রাসেদ (১৭) ও রাকিবুল ইসলাম (১৬) নামের দুই কিশোরকে তুলে নিয়ে আটক রেখে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগও পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে পুলিশ পৌর শহরের দেনায়েতপুর এলাকার উপজেলা পরিষদ সড়কের পরিত্যক্ত একটি কক্ষ থেকে ওই দুই কিশোরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পৌর দেনায়েতপুর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রিপন ও তার সহযোগী জাহিদুল কবিরকে আটক করে পুলিশ। রিপন দেনায়েতপুর এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে ও জাহিদ একই এলাকার এটিএম তছলিম উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে ওই কিশোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে আহত রাসেদের চাচা জুয়েল বাদী হয়ে আটক দুইজনের নাম উল্লেখ ও তিন/চারজনকে অজ্ঞাতনামা করে পাঁচ/ছয়জনের নামে চাঁদার দাবি, অপহরণ ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা রিপন তার স্ত্রী তনু আহসানের নামে ফেসবুকে একটি আইডি খুলে। এ আইডি স্ত্রী তনুর হয়ে রিপন নিজেই ব্যবহার করে পৌর শহরের মধুপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানেল ছেলে রাসেদ ও পূর্ব কাঞ্চনপুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে রাকিবের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে। রিপন ‘ফেসবুক প্রেমের ফাঁদে ফেলে’ ওই দুই কিশোরের সঙ্গে বিভিন্ন ছবি ও মেসেজ আদান প্রদান করে আসছে। আদান-প্রদান করা ওইসব ম্যাসেজ ব্ল্যাকমেইলিং হিসেবে নিয়ে শনিবার রাতে তাদের অভিভাকের কাছে রিপন দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তুলে নিয়ে পুলিশে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে যায় রিপন। অভিভাবকরা দাবিকতৃ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রবিবার দুপুরে ওই দুই কিশোরকে রিপনসহ চার-পাঁচজন যুবক জোরপূর্বক অপহরণ করে তুলে নিয়ে পরিত্যক্ত ওই অফিস কক্ষে আটকে রেখে বেধম মারধর করে নির্যাতন চালায়। সন্ধায় খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রায়পুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিত কিশোরের চাচার দায়ের করা মামলায় রিপন ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার দেখিয়ে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
0Share