নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে রাইসা আক্তার নামের এক ৯ মাসের শিশু কন্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ায় অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা ইয়াছমিন আক্তারকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। রোববার সকালে সদর উপজেলার মহাদেবপুর এলাকা থেকে মাকে আটক ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশুর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। রাইসা ওই গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, আবুল খায়েরের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় আসক্ত। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো । এর জের ধরে শনিবার (২৫ জুন) রাতের কোন সময় শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। ভোরে মেয়েকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না বলে মা চিৎকার করতে থাকে। এসময় আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে বাড়ির পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন মা ইয়াছমিনকে পিটুনি দিয়ে গাছের সাথে বেধে রেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে এসে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের দাদী কোরফুলী বেগম ও বাবা আবুল খায়ের জানান, শিশু রাইসাকে মা নিজে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় ইয়াসমিনের বিচার দাবি করেন তারা।
পুলিশ হেফাজতে আটক মা ইয়াছমিন আক্তার নিজের শিশুকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ঘরের দু-পাশের দরজা খোলা ছিল। অন্য কেউ মেয়েকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিতে পারে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া জানান, ৯ মাসের শিশু কন্যা রাইসা পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর মাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share