হাসান মাহমুদ শাকিল: মুসলিম ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে খুশির দিন ঈদের কেনাকাটার শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেলা শহরসহ উপজেলা শহরের বিপণী বিতানগুলোতে চলছে কেনাকাটার ধুম। এসব বিপণী বিতানগুলোতে নতুন নতুন বাহারীডিজাইনের পোশাক আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদের। আর সাধ ও সাধ্যের মধ্যে প্রিয়জনদের খুশি রাখতে কেনা-কাটায় ব্যাস্ত রয়েছেন ক্রেতারাও। অন্যদিকে চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতাদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিতে দর্জি দোকানগুলোতেও সেলাই কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কারিগররা।
ঈদকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের আউট লুক, অঙ্গ শোভা, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, রায়পুরের গাজী কমপ্লেক্স, মিয়াজী সুপার মার্কেট রামগঞ্জের জিয়া শপিং কমপ্লেক্সসহ বিপনীবিতান গুলো এখন ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিপনী বিতান গুলোতে চলছে কেনাকাটার ধুম। এসব বিপনী বিতান গুলোতে নারী ক্রেতার ভীড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো। দেশী বিদেশী নানা রঙ্গের শাড়ী, থ্রি পিজ, পাঞ্জাবী, জুতা সহ নানা রকমের পোশাকের সমাহার রয়েছে বিপণীবিতান গুলোতে। পাশাপাশি দর্জি দোকান গুলোতেও সেলাই কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কারিগররা। ছোট ছোট বাচ্চারা ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করার জন্য কে কার আগে সুন্দর পোশাকে নিজকে উপস্থাপন করবে এ প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত রয়েছেন। সেটা হোকনা যত দামি পোশাক। এদিকে থেমে নেই তরুণীরাও। পছন্দের পোশাকের সাথে মিলিয়ে কসমেটিক সামগ্রী কিনছে কেউ কেউ। বিপণীবিতান গুলোতে গত বছরের তুলনায় এবার কালেকশান ভালো। দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানায় ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা ভাল। এবারের কালেকশানে রয়েছে লেহেঙ্গা, থ্রী পিছ, লং ফ্রগ, ফ্লাজু ও গ্রাউন্ডসহ নানা ধরনের বাহারী পোশাক।
এদিকে বড় মাকের্টগুলোতে মানুষ যেন নির্বিঘেœ ও নিরাপদে ঈদের কেনাকাটা করতে পারে সে জন্য পুলিশ প্রসানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ নাসিম মিয়া বলেন, মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও বনিক সমিতির পক্ষ থেকেও কমিউনিটি পুলিশের ২০টি টিম গঠন করা হয়।
0Share