রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বেড়েই চলছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ছয় মাসে চুরি হয়েছে শতাধিক মোটরসাইকেল। এক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতি দিন ও রাতে দু-একটি করে মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। চোরের কবল থেকে বাদ পড়ছেন না সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, এনজিওকর্মী, ঠিকাদারসহ সাধারণ মানুষ। চুরি হওয়া কোনো মোটরসাইকেল পুলিশ উদ্ধার বা কোনো চোরকে আটক করতে পারেনি।
একটি সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী চোরের দল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পুলিশের চোখ এড়িয়ে প্রায় রাতে ও দিনে এভাবে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি হওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। পুলিশের চোখ এড়িয়ে প্রতি রাতে এভাবে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি হওয়ায় মোটরসাইকেল মালিকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার কথা পুলিশ স্বীকারও করছে। কিন্তু উদ্ধারে কোনো সাফল্য নেই।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে রায়পুর শহর, শহরতলী ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। দিন-দুপুরে থানা সংলগ্ন গাজী কমপ্লেক্স মার্কেটের সামনে থেকে মোঃ সোহেল নামে এক প্রবাসীর, ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যাবসায়ীর, মধ্য বাজারের একটি বাসা থেকে এক যুবলীগ নেতা শামছুল আলম বাবুলের, পীর বাড়ীর সামনে থেকে মাসুদ আলম নামের এক ব্যবসায়ীর, সেতারা হোটেলের মালিক ইসমাইল হোসেনের, নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায় শরীফ হোসেনের ও একই এলাকার গ্রিল ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মো: ইসমাইলসহ অনেকের মোটরসাইকেল চুরি হলেও উদ্ধারে পুলিশের কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
রায়পুর থেকে প্রতিনিয়ত কারও না কারও পালসার, হিরো ফ্যাশন, প্লাটিনামসহ দামি মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্রটি রাতে লোহার কলাপসিবল গেট ভেঙে কখনও বা দিনের আলোয় মোটরসাইকেলের পার্কিং থেকে শত শত লোকের ভিড়ের মধ্য থেকে সুকৌশলে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তবে এ চক্রটির টার্গেট দামি মোটরসাইকেল। চুরি যাওয়া কিছু মোটরসাইকেলের প্রভাবশালী মালিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদেরটা উদ্ধার করতে পারলেও বেশিরভাগই থেকে যায় অন্ধকারে। এলাকার চিহ্নিত মোটরসাইকেল চোরেরা এ এলাকা থেকে চুরি করে খুলনা ও যশোরে নিয়ে বিক্রি করে অথবা ওই এলাকার চুরি করা মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিনিময় করে এ এলাকায় এনে বিক্রি করছে বলে অনেকের ধারণা।
রায়পুর থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, মোটরসাইকেল চুরি রোধ করতে হলে প্রতিটি মার্কেটে সিসি ক্যামেরা ও তাদের নিজস্ব পাহারাদার রাখতে হবে। কয়েক দিন আগে বেশ কয়েকটি স্থানে মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরে আমরা পাহারা জোরদার করি। এ ব্যাপারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
0Share