প্রতিনিধি: রামগঞ্জ উপজেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভাদুর, চন্ডিপুর ও ইছাপুর ইউনিয়নে ডিলাররা বরাদ্ধকৃত চাল উত্তোলন করলেও হতরিদ্রদের মাঝে তা বিক্রি করেননি। এ নিয়ে ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় রোববার দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও তরিকত ফেডারেশনে মহাসচিব লায়ন আবদুল আওয়াল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ ও ওজনে কম দেয়ার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এসময় আবুল খায়ের পাটোওয়ারী ও হাছান তারেকের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়।
এদিকে, চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ইউছুফকে প্রধান করে তিন সদস্য এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দশটি ইউনিয়নে প্রথম ধাপে সেপ্টেম্বর মাসে এক হাজার ৪২৯ জনের জন্য ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। পাঁচজন ডিলার তাদের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করেন।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ইউছুফ বলেন, চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসময় দুইজনের চালের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লায়ন আবদুল আওয়াল বলেন, সরকার হতদরিদ্রের সুবিধার্থে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি করছে। এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
0Share