জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে শিশু সন্তানসহ গৃহবধূকে অপহরণের ১১ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার (২৮ নভেম্বর) ভোর রাতে চন্দ্রগঞ্জ চরশাহী ইউনিয়নের মিয়ার বাজার এলাকা থেকে অপহৃত শিশু সন্তান সিহাব ও তার মা’ গৃহবধূ শিউলী আক্তার মুক্তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণ ঘটনার মূলহোতা করিম (৩০) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে রোববার বিকেল ৫টার সময় সদর উপজেলার ভাঙাখাঁ গ্রামের বাপের বাড়ি থেকে চন্দ্রগঞ্জ ইউপির গণিপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আসার পথে জকসিন বাজার থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। অপহরণ ঘটনায় আটক করিমসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উদ্ধারকৃত অপহৃত গৃহবধূ শিউলী আক্তার মুক্তা গণিপুর গ্রামের প্রবাসী রিয়াজ হোসেনের স্ত্রী এবং আটক করিম পার্শ্ববর্তী ধন্যপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও অপহৃত গৃহবধূ শিউলী আক্তার মুক্তা জানায়, রোববার বিকেলে ভাঙাখাঁ গ্রামের তার বাপের বাড়ি থেকে ৪ বছরের শিশু সন্তান সিহাবসহ গৃহবধূ মুক্তা গণিপুর গ্রামের শ্বশুরালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা ডাকাত করিম ও তার সহযোগি আরো দুইজন মিলে একটি সিএনজি অটোরিক্সাযোগে তাদেরকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূ শিউলীর ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে তার ভাই নুর হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর অপহরণকারীদের অবস্থান মিয়ার বাজারে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে যায় গৃহবধূর ভাই নুর হোসেন। একই সময় চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশও ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু সিহাবসহ অপহৃত গৃহবধূকে উদ্ধার এবং ঘটনার নায়ক করিম ডাকাতকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহৃত গৃহবধূ শিউলী ও তার শিশু সন্তান সিহাবকে মিয়ারবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী করিম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
0Share