মনির হেসেন রবিন : রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী বর্তমানে তীব্র গতিতে ভাঙ্গছে।বিগত ২০১৪ সালের ২৯ মে ভাঙ্গন পরিদর্শনে আসেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম ও প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল ( অব. ) মোঃ নজরুল ইসলাম।পরে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে পথসভায় মেঘনা নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ।এ সময় তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগেই চরকাচিয়ার ভাঙন রোধে কাজ করবেন।
আড়াই বছর পর ও মন্ত্রীর সে প্রতিশ্রুতি আলোর মুখ দেখেনি। এলাকাবাসির অভিযোগ শুধু প্রতিমন্ত্রী নয় এর আগে সাবেক সাংসদ আবুল খায়ের ভূইয়া ও সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া পাঁচ বার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। কিন্তু কেউ প্রতিশ্রুতি পূরন করেননি।
দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, মেঘনা নদীর ভাঙনে গত চার-পাঁচ বছরে পায় ৩০০ একর আবাদি জমি ও দেড় শতাদিক ঘরবাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। ভূমিহীন হয়েছে প্রায় ৫০০ পরিবার। নদী ভাঙনে চর কাচিয়া গ্রাম বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এখন ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা না নিলে ভূমিহীন হয়ে পড়বে কমপক্ষে ৫০০০ মানুষ। কয়েকজন জনপ্রতিনিধিরা জানান, ১২ বছর ধওে স্থানীয় এমপি ও সরকারের অনেক কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে নদী ভাঙনের চিত্র দেখে গেছেন। কিন্তু ভাঙনরোধে ব্যবস্থা হয়নি। সর্বশেষ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও ফাইলবন্দী হয়ে আছে।প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রোকৗশলী কাজী ইয়ার উদ্দিন শনিবার মুঠোফোনে জানান, ভাঙনরোধের জন্য অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে একটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন পেয়ে যাবো
0Share