লক্ষ্মীপুর : সাজানো মামলায় লক্ষ্মীপুরের তরুন দুই সাংবাদিক এখন কারাগারে। সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় তাদেরকে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এমন ষড়যন্ত্রের ঘটনায় সচেতনমহল ও সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিক হয়রানি, মিথ্যা মামলার
প্রতিবাদ ও তাদের মুক্তির দাবিতে শনিবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় অপর সাংবাদিকরা।
এর আগে বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে লক্ষ্মীপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই দু সাংবাদিকের পরিবার। সাজানো মামলায় কারাগারে থাকা সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজু স্থানীয় দৈনিক মুক্তবাঙালী পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি’র ছাত্র এবং নাট্যকর্মী। সোহেল রানা সাপ্তাহিক নতুনপথ পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক ও একই কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র।
জানা গেছে, বুধবার রাত ৮ টার দিকে সদর উপজেলার ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের মিরকপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে প্রেম ঘটিত ঘটনার জেরে লিটন নামে এক যুবককে মারধর করে আটক রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় সাংবাদিক রাজু ও সোহেল। ওই সময় ঘটনাস্থলে ওই যুবককে একটি খেলনা পিস্তল, ছুরি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ফাঁসানোর পরিকল্পনা চলছিল। ঘটনাস্থলে বিষয়টি দেখতে পেয়ে রাজু ও সোহেল ওই ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারন করতে গেলে ওই বাড়ির লোকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকসহ সাংবাদিকদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতেই মিথ্যা গল্প সাজিয়ে দুই সাংবাদিকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এতে অপহরনে ব্যর্থ হয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়। অপর যুবক আবু ছায়েদ লিটন পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার দেশগাঁও গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। লিটন সম্প্রতি ওই বাড়িতে প্রেম করে বিয়ে করেছে বলে দাবি করছে।
এদিকে মামলার বাদি মমতাজ বেগম সাংবাদিকদের জানান, আটক দুই সাংবাদিক নির্দোষ। মামলায় তাদেরকে তার বাবা আসামী করেছেন। কি কারনে করেছেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের হয়রানি করতে; তদন্ত ছাড়াই তড়িগড়ি করে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে মামলা দায়ের করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থানা থেকে যথা সময়ের মধ্যে দুই সাংবাদিককে আদালতে হাজির না করানো কারণে জামিন আবেদন করা যায়নি। এসব ষড়যন্ত্র। এ সাজানো ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যার ও সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি করেন তারা।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ এনে মমতাজ বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
0Share