নিজস্ব প্রতিনিধি: ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের সাহাব উদ্দিন খলিফার দু ছেলে মোঃ মাসুদ আলম (৩০) এবং জুয়েল রানা (২৫) এর জানাযা শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় তাদের জানাযায় হাজারো মুসল্লির ঢল নামে।জানাযায় অনেককে কাদঁতে দেখা যায়।জানাযা পরিচালনা করেন তোরাবগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মহসিন। এর আগে বক্তব্য রাখেন কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শামছুল আলম, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ রতন প্রমূখ। জানাযা শেষে দু ভাইকে তাদের পারিবারিক কবরে পাশাপাশি দাফন করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার ( ২০ এপ্রিল ) ভোরে জসিম উদ্দিন ওমানের নিজওয়া হাসপাতারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। তিনি দূর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জসিমের বড় ভাই জহির উদ্দিন। জসিম উদ্দিন কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে এবং নিহতদের মামা।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানের রাজধানী মাসকাটের সালালা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘনায় ওই দু ভাইসহ তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। অপর নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মেজওয়া শহরের অদূরে দু’টি প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ভাইসহ তিনজনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় জসিম উদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা চারজন দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারে ছিলেন।
নিহত মাসুদ আলম ও জুয়েল রানার বাবা সাহাব উদ্দিন খলিফা বলেন, দুই বছর আগে তার দুই ছেলে ওমানে যায়। দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা আহাজারি করছেন। দু ভাইয়ের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
0Share