রামগতি প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে ঘূর্ণিঝড়ে ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাৃন, ২টি মসজিদ ও একটি নৌপুলিশ ফাঁড়িসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপড়ে পড়েছে পাঁচ শতাধিক গাছপালা। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত রামগতি উপজেলার মেঘনার উপকূলীয় বড়খেরী ও চরগাজী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ঝড়ে বয়ে গেছে। বিকেলে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে ঝড়ের শুরু হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ ফেরদৌস, চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমন ঝড়ে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতি হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তারা আরও জানান, ঝড়ে উপজেলার কয়েক শ’ একর জমির সায়াবিন, বাদাম, মরিচ ও বিভিন্ন প্রকার ডাল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কয়েকশ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রামগতি বিবিকে পাইলট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও রামগতি আছিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দুটি মসজিদ এবং বড়খেরী নৌপুলিশ ফাঁড়ি।
বড়খেরী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: সেলিম বলেন, ১টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়ে তার বসতঘরসহ ওই এলাকায় বিভিন্ন লোকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়।
চরলক্ষ্মী এলাকার জামাল উদ্দিন জানান, তিনি প্রায় এক একর জমিতে সয়াবিন চাষ করেছেন। ঝড়ের প্রবল বাতাসে তার জমির অধিকাংশ সয়াবিন গাছ মাটিতে শুয়ে গেছে। এতে ফলনের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি।
এবিষয়ে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতি: দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা আমান উল্ল্যা জানান, সোমবার দুপুরে রামগতি উপজলার ওপর দিয়ে ঘুর্ণিঝড় বয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য তদারকি চলছে। তাদের সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
0Share