নিজস্ব প্রতিনিধি: হঠাৎ করেই ভিজে উঠেছে ঘরের মেঝে ও দেয়াল। মাটি, পাকা বা টাইলস, উপরের তলা বা নিচ তলা বাদ যায়নি।সবখানে বিন্দু বিন্দু পানি। প্রথম নজরে আসায় সবাই ভেবেছে এইমাত্র যেন পানি ফেলা হয়েছে ঘরের মেঝে বা দেয়ালে। প্রথমে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে এড়িয়ে গেলেও পরে সাধারণ মানুষের মাঝে ভর করে চাপা আতঙ্ক। কারণ এ নিয়ে রীতিমতো উৎকণ্ঠা চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। কেউ বলেছেন, এ অবস্থা বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস কারো মতে বড় ঘূর্ণিঝড়ের আভাস। আবার কারও ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ঙ্কর রূপ। আবার কেউ কেউ এটাকে অলৌকিক কা- বলে গুজব ছড়িয়েছেন।মঙ্গলবার ( ২৫ এপ্রিল) দিনভর ঠিক এমনটাই ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের পুরো জেলায়। দিন শেষে খবর আসে সারাদেশের এমনকি ভারতেও ।
সাধারণ মানুষ নানা মন্তব্য করলেও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত কয়েকদিন পর হুট করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঘরের মেঝে ঘেমেছে। এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে লক্ষ্মীপুরে তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি যা পরবর্তীতে হয় ৩৫ ডিগ্রি।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে হুট করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই মেঝে ঘেমেছে। তাপমাত্রার আকস্মিক তারতম্যের কারণে এটা হতে পারে। কয়েকদিন থেকে বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা নিচে নেমে গিয়েছিল। এখন বাড়ছে। শীতের দিন একই কারণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির ভেতরও ঘেমে যায়। আর এর কারণ তাপমাত্রার তারতম্য।
এদিকে টানা বর্ষণের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘরের মেঝের এমন ঘেমে যাওয়া দেখে এবং পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে-ভারী-অস্বাভাবিক থাকার কারণে ভূমিকম্প ও ঝড়ের আশঙ্কায় বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর সদরের কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টির পর সকালে রোদ উঠলে ঘরের মেঝেতে পানি জমে স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের সৃষ্টি হয়। মেঝে মুছে ফ্যান চালানোর পরও ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব অব্যাহত থাকে এবং পানি জমতে থাকে। এছাড়া সারাদিন আবহাওয়া ভারি ও অস্বাভাবিক গরম অনুভূত হয়েছে। যার কারণে মনে হয়েছে ভূমিকম্প বা অন্যকিছু হতে পারে। তবে এ নিয়ে ভয় কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে-ভারি-অস্বাভাবিক থাকে। সেইসাথে ঘরের মেঝে ও দেয়াল ভিজে উঠে। এর সাথে ভূমিকম্প বা ঝড় জনিত বিপদের কোনো সম্পর্ক নেই। বাড়ির ভেতরে সবকিছু খোলামেলা রেখে বাতাসের আসা-যাওয়া-প্রবাহ নিশ্চিত করলে এ রকম সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে।
0Share