নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর চক বাজার জামে মসজিদের (কেন্দ্রীয় মসজিদ) খতিব ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মুফতী মাওলানা মুশতাকুন্নবী, গাড়ীর চালক মোঃ মাসুদ এবং তার সহকারী ছাত্র খায়রুল ইসলাম সহ অপহৃত ৩ ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে বৃহস্পতিবার ( ২৫ মে) রাতে দুর্বৃত্তরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছেন বলে শুক্রবার গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন তাদের পরিবার। ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে ওই টাকা লেনদেন এবং তা প্রশাসনকে না জানাতে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে ও জানান পরিবার। এ ঘটনায় চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে ওই ৩ পরিবার। এর আগে বুধবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার লালমাই এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় এরা ৩ জন। ৩ জনের অপহরণের বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা ও লক্ষ্মীপুর সদর থানায় পৃথক ডায়েরি করা হয়েছে।
মাওলানা মফতি মুস্তাকুন্নবী লক্ষ্মীপুর চকবাজার জামে মসজিদের (কেন্দ্রীয় মসজিদ) খতিব ও কুমিল্লা বিশ্ব রোডের মাদরাসাই ইসলামিয়া দারুল উলুমের মোহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা টুমচর গ্রামের মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের ছেলে (চকবাজার জামে মসজিদের সাবেক খতিব)।
এ বিষয়ে নিখোঁজ মুশতাকুন্নবীর ভাই মাওলানা আশরাফ আলী ও এমদাদ হোসেন শরীফ জানান, বুধবার (২৪ মে) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে একটি ওয়াজ মাহফিল শেষে মুশতাকুন্নবী ও তার সহযোগী ছাত্র খায়রুল ইসলাম ও চালক মো. মাসুদসহ ৩ জন একটি প্রাইভেট কার (চট্র মেট্রো-গ-১১-২০৭৮) যোগে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মুশতাকুন্নবীর শেষ কথা হয়েছিল, তখন তিনি কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলার লালমাই এলাকায় ছিলেন। এর পর থেকে তার মোবাইলসহ অন্যদের মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।
পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। কোন সন্ধান না পেয়ে বিকেলে নিখোঁজ মুশতাকুন্নবীর ঘনিষ্ঠজন হাজী শফিকুল ইসলাম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় জিডি করেন। সন্ধ্যায় কুমিল্লা শহরতলীর চম্পকনগর এলাকার একটি মাদরাসায় নিখোঁজদের সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ওখানকার স্থানীয় আলেমরা।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই মুফতিসহ তিনজনকে অপহরণ করা হয়েছে নাকি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে কেউ তাদের তুলে নিয়ে গেছে তা জানানোর আহবান করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা মুস্তফা মাহমুদী, ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সুলতান আহমাদ জাফরী, মাওলানা মাহমুদুল হাছান জেহাদী, হাফেজ মাওলানা নুরুল হক সিরাজী, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি মো: লোকমান হোসেন কোন বলেন নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। একইভাবে কুমিল্লা সদরের দক্ষিন মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বিভিন্ন গনমাধ্যমকে বলেন, নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
0Share