রায়পুর প্রতিনিধি: “কোষ্টগার্ড সদস্যদের হয়রানি, রায়পুরে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে জেলেদের মানববন্ধন” এই শিরোনামে শুক্রবার দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশিত সংবাদে প্রশাসনের টনক নড়েছে। এ সংবাদ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায়ের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক মেঘনা নদীর রায়পুর অংশের কোষ্টগার্ডের কমান্ডারকে ডেকে তাদের ২ সোর্স শামছুদ্দিন ও বাকেরকে বরখাস্ত করা নির্দেশ দিয়েছেন। যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের নির্দেশে দুই সোর্সকে বরখাস্তা করায় জেলেদের মাঝে সস্তি এসেছে।
উল্লেখ্য, মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুরের রায়পুর অংশে কোষ্টগার্ডের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। তাদের চাহিদামত চাঁদা না পেলে জেলেদের মারধরসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। গত ১৫ দিনে সোর্স শামছুদ্দিন ও বাকেরের মাধ্যকে শতাধিক জেলে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে চাঁদাবাজির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে জেলেরা। কোষ্টগার্ডের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে বুধবার বিকেলে উজেলার পুরান বেড়ী এলাকায় ঘন্টাব্যাপী জেলেরা মানববন্ধন করেন।
রায়পুর উপকূলীয় ক্যাম্পের পেটি অফিসার এস এ মারমা বলেন, কোষ্টগার্ড নিয়ে যুগান্তরে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তা আমাদের নজরে আসে। তবে আমরা জেলেদের কাছ থেকে কোন টাকা আদায় করিনি। ইউএনও সাহেবের নির্দেশে আমাদের ২ সোর্স শামছুদ্দিন ও বাকেরকে বরখাস্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, মেঘনা নদীর রায়পুর অংশে জেলেদের কাছ থেকে সোর্সদের মাধ্যমে কোষ্টগার্ড সদস্যদের টাকা আদায়ের বিষয়টি যুগান্তরের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সঠিক সংবাদ প্রকাশ করার জন্য যুগান্তর প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানাই। তাৎক্ষণিক কোষ্টগার্ডের পেটি কর্মকর্তাকে ডেকে অভিযুক্ত দুই সোর্সকে বরখাস্ত করারনির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
0Share