রায়পুর প্রতিনিধি: ঝড়ে পুরানো কার্ডের বোর্ড থেকে মিটার খুলে যায়। পরে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে ওই মিটারটি লাগাতে অভিযোগ করেন গ্রাহক। এতে মিটার মেরামত ও নাম পরিবর্তন করতে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৩৬৯৭ টাকা লাগবে পল্লি বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তাদের এমন বিল দেখে গরিব কৃষকের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা বামনী ইউনিয়নের মধ্য সাগরদী গ্রামের তোরাব পাটওয়ারী বাড়ী কামরুল হোসেন লিটনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে। প্রতিদিন মিটার পরিবর্তন, নাম পরিবর্তন, মিটার না দেখে বিদ্যুৎ বিল তৈরী, নতুন সংযোগ সহ অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ গ্রাহক হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কতিপয় দালালদের বিরুদ্ধে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কামরুল হোসেন লিটন সাংবাদিকদের জানান, গত ১ জুন ঝড়-তুফানে তার মৃত: পিতার নামে মিটারটি বসতঘরের পুরানো কার্ডের বোর্ড থেকে মিটার খুলে যায়। ৩ জুন বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করলে ৫ জুন লাইনম্যান শরীফুল ও নজরুল ইসলাম গ্রাহকের বাড়ীতে গিয়ে মিটারটি খুলে নিয়ে আসে। পরে ৬ জুন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নাম পরিবর্তনের কথা বলে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে ৩৬৯৭ দিতে বলেন বিল কর্মকর্তা ফিরোজা বেগম। এ বিল দেখেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। পরে গত দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ অফিসে কমকর্তাদের কাছে এর প্রতিকার চাইলে না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। প্রায় দুই মাস পর বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২ টায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি মনির হোসেনের মাধ্যমে আবার বিদ্যুৎ অফিসে গেলে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ হলে তাড়াহুড়ো করে ৩৬৯৭ টাকার না নিয়েই ৯৫০ টাকার বিল নিয়ে ঘটনাটি আড়াল করে রাখেন। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করে দ্রুত মিটারটি লাগিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। সাধারণ গ্রাহক যেন কর্মকর্তা কর্মচারীদের দ্বারা হয়রানি না হয় ও অনিয়মের বিচার দাবি জানান।
রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎয়ের ডিজিএম সুধাস চন্দ্র রক্ষিত বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা -কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রায়পুরে পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহক হয়রানি
0Share