ঢাকা প্রতিনিধিঃ হারুন-আমিন এবং হাশেম-নিজাম এই দুই প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আগামী ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতি নির্বাচনে। শিল্প গ্রুপ সজিব কর্পোরেশনের এমডি আবুল হাশেম এবং টিএন্ডটি বোর্ডের কর্মকর্তা প্রকৌশলী নিজাম উদ্দীন আছেন একটি প্যানেলে, অন্য প্যানেলে আছেন আওয়ামীলীগ এর যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ এবং এনএসআই এর সাবেক কর্মকর্তা সামসুল আমিন।
নির্বাচনী সিডিউল ঘোষনার পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে ছয় সদস্যের একটি কমিটি কাজ শুরু করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন সমঝোতা হয়নি বলে জানা যায়। সমঝোতা না হলে নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যেতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপকে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় উভয় পক্ষই নির্বাচন চায় না। কিন্তু একটি গ্রহণযোগ্য সমঝোতায়ও তারা পৌছতে পারছে না। লক্ষ্মীপুর সদরের এমপি শাহজাহান কামাল ইতোমধ্যে উভয়পক্ষকে ডেকে সমঝোতার আহবান জানিয়ে কয়েকবার বৈঠক করেছেন। কিন্তু এই উদ্যোগেও সফলতা আসেনি। আর এই জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থীরা দায়ি করেছেন, সজীব গ্রুপের এমএ হাশেমকে। যিনি হাশেম – নিজাম পরিষদের সভাপতি প্রার্থী। লক্ষ্মীপুর জেলার উন্নয়নে এই সমিতি কার্যকরি কোন ভুমিকা না রাখতে পারলেও, নির্বাচন কেন্দ্রিক অনেক প্রভাবশালী সদস্যকেই বিভিন্ন প্যানেলের পক্ষে দৌড় ঝাপ দিতে দেখা যাচ্ছে।
নির্বাচনের আগেই বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন খোদ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরাই। অন্যদিকে যারা এতদিন সমঝোতার লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে রেফারির ভুমিকায় ছিলো, তারা অনেকেই নির্লজ্জভাবে হারুন-আমিন পরিষদে প্রার্থী হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন হাশেম-নিজাম পরিষদের নেতারা।
উল্লেখ্য যে নির্বাচনী সমঝোতার সুযোগ প্রার্থীতা প্রত্যাহের শেষ দিন পর্যন্ত আছে, সেই মোতাবেক ৮ নভেম্বর শেষ সময়। লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতির জীবন সদস্যরা মনে করেন, সমঝোতা বা নির্বাচন যে প্রক্রিয়াতেই হোক, এই নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের জন্য একটি কল্যাণমুখী নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। যারা একটি সমৃদ্ধশালী লক্ষ্মীপুর বিনির্মাণ করবেন।
0Share