তাবারক হোসেন আজাদ: আমি পড়তে চাই । কিন্তু পড়তে পারছি না। চোখ ব্যাথা করে, অঝোড়ে পানি পড়ে। আমার খুব কষ্ট হয়। আমার চোখ নষ্ট হয়ে যাবে-কখনো দেখতে পারবো না? ও মা বলো না এই ভাবে মা’কে প্রশ্ন করছে আর কাঁদছে ১০ বছরের ছোট্ট অবুঝ শিশু রুমি আক্তার । বৃহস্পতিবার সন্ধায় (২১ ডিসেম্বর) রায়পুর শহরে পিতা হারা ছোট্ট শিশু রুমিকে সঙ্গে নিয়ে তার চোখের চিকিৎসার জন্য মা নুরজাহান বেগম হেটে হেটে টাকা তোলার সময় এ প্রতিনিধির সাথে দেখা হলে ক্যামেরা বন্ধীহন মা-মেয়ে । অসহায় মা নুরজাহান জানান, তার স্বামী রায়পুর-বর্ডার বাজার সংলগ্ন শিবু হাওলাদার বাড়ীর বাসিন্দা মোহন হাওলাদার ৫ বছর আগে মারা যান । ২ মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে মানুষের বাড়ীতে গৃহ কর্মীর কাজ করে সন্তানদের লেখাপড়াসহ সংসার চালান ।
গত দু’মাস আগে এলাকার সহ-পাটিদের সাথে খেলা করতে গিয়ে লাঠি দ্বারা তার বাম চোখে আঘাত পায় । চাঁদপুর চক্ষু হাসপাতালে নিলে ডাক্তারগণ কিছু ওষুধ ও পাঁচশ টাকার একটি চশমা দিয়ে বিদায় করে দেন। ৩০ হাজার টাকা দিলে শিশুর চোখের ভালো চিকিৎসা করা হবে বলে বিদায় করে দেন। এতদিন টাকার ব্যবস্থা না করতে পারায় চোখের যন্ত্রনা বাড়াসহ নষ্ট হতে চলেছে। তাই নিরুপায় হয়ে মেম্বার-চেয়ারম্যান সহযোগিতা তা না পেয়ে এই প্রথম মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি । বর্তমানে অসহায় সন্তানদের নিয়ে ফরিদগঞ্জ-রুপসা সড়কের মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় বাসবাস করছেন তিনি।
চোখের চিকিৎসা করতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা চেয়েছেন মা । কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৩৯৮২৯৭৭৩ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা সহযোগিতার টাকা পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারেন, তাবারক হোসেন, একাউন্ট নাম্বার টি-100047, জনতা ব্যাংক, রায়পুর শাখা-লক্ষ্মীপুর।
0Share