মোঃ মিরাজুর রহমান পাটোয়ারি: রাত অানুমানিক ২.৩৫। কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানা এলাকা। একজন ভাই তার বোনের প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতায় বাধ্য হয়েই তীব্র শীত আর কুয়াশার মাঝেও রাস্তায়। প্রয়োজন জরুরি স্বাস্থ্য সেবা। থানা সদরে সরকারি হাসপাতালসহ আছে অনেক প্রাইভেট ক্লিনিক/হাসপাতালও, আছে ইমার্জেন্সী সেবার সাইনবোর্ড ও! বাস্তবে নেই কিছুই…। অসুস্থ বোনকে নিয়ে এক দুয়ার থেকে অারেক দুয়ার, সেবা পাওয়া গেলোনা কোথাও! সরকারি হাসপাতালের ইমার্জেন্সীও তালাবন্ধ! পরম আশংকায় শেষ ভরসা “৯৯৯”…. সংবাদ পেয়েই আমরা ফোন করে জানিয়ে দিই সংশ্লিষ্ট থানাকে। ডিউটি অফিসার দ্রুত পাঠিয়ে দেন পেট্রোল টিমকে।
পুলিশ গিয়ে সরকারি হাসপাতালের বন্ধ দরজা খোলার ব্যবস্থা করে। ডিউটি অফিসার ফোন করে আমাদের নিশ্চিত করে আবারও। অবশেষে স্বস্তি মিলে গভীর রাতে বিপদাপন্ন মানুষটির। অন্তর থেকে দুয়া জানাচ্ছিলেন একটু আগেই উদ্বেলিত মানুষটি। আমাদের কল এজেন্ট/ডিসপ্যাচারদের রাতজাগা লাল চোখগুলোতে খানিকটা আনন্দের ঝিলিক, চরম মুহূর্তে সেবা নিশ্চিত করার আনন্দ!!
এই গল্পটা শেয়ার করার কিছুকাল পূর্বেই বিরক্তিকর কল নিয়ে নিজের বিরক্তিটাও শেয়ার করেছিলাম। পরক্ষণেই একটা সফল প্রয়াস। আশা করি জাতি হিসেবে আমরাও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবো। আপনার/আপনাদের অবাঞ্চিত ফোন আর বিশ্রী গালাগাল গুলো হয়ত আরেকজন সমূহ বিপদ আশংকায় সাহায্যপ্রার্থীকে অপেক্ষমান রাখছে! কে জানে,হয়ত আগামী রাতটাই হয়ত আপনার জীবনে কোন দূর্যোগ নিয়ে আসবে!! বিরক্তিকর কলার হিসেবে আপনার নম্বর ব্লক করে রাখা হয়েছে!!সাহায্য প্রার্থনা করার কোন রাস্তা নেই ঐ মুহূর্তে!! কি করবেন, ভাবুন….
লেখক: সহকারি পুলিশ সুপার
0Share