নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলীতে বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় উপকার ভোগীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী দাসের হাট ও নোয়াখালী সদরের উদয় সাধুর হাট সড়কের লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী বাজারস্থ পাল বাড়ির পুকুর পাড়ের প্রায় ১ লাখ টাকা মুল্যের ১০টি কড়ই গাছ উপকার ভোগীদের না জানিয়ে জেলা বন বিভাগের রেঞ্জার ও বিট অফিসার পরস্পর যোগসাজসে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর মাধ্যমে কেটে একটি ইট ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। অথচ এ ব্যাপারে উপকার ভোগী সমিতির কোন কর্মকর্তা বা তাদের সদস্যরা কিছুই জানেন না।
উপকার ভোগী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার জনতা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম খাঁন এ প্রতিবেদককে জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে বন বিভাগ তাদের কিছুই জানায়নি। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সদস্যরাও এ ব্যাপারে কিছুই জানেননা। তাদের উপকার ভোগী সমিতিতে ২৮জন সদস্য রয়েছে।
বন কর্মকর্তার নেতৃত্বে গাছ কাটার খবর পেয়ে তিনি বন কর্মকর্তাদের জানালে রেঞ্জ কর্মকর্তা বিট অফিসারের উপর অপর দিকে বিট অফিসার রেঞ্জ কর্মকর্তার উপর দোষ ছাপান। বিট অফিসার জানান এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তাতো জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলার কথা ছিল। অপর দিকে রেঞ্জ অফিসার জানান এ ব্যাপারে বিট অফিসার তার জাহাঙ্গীরের সাথে আলাপ করার কথা ছিল। এ দিকে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখাযায় দিঘলী গ্রামের খোকন সহ কয়েকজন সামাজিক বনায়নের গাছ গুলো কেটে যাচ্ছে। তাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বন বিভাগের লোকজন এ গাছ কাটাচ্ছেন। এ দিকে এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা বিট অফিসারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি গাছ কাটার স্থলে অবস্থান করছেন এ প্রতিবেদক সহ সাংবাদিকরা ঘটন্স্থালে আছেন এমন সংবাদ শুনে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যান। এ দিকে বন বিভাগ সংশ্লীষ্ট একাধিক সূত্র জানায় কোন ভাবেই উপকার ভোগীদের বাদ দিয়ে গাছ কাটা বা বিক্রি করার কোন বিধান নেই। এ ছাড়া এ গাছ নিলাম বিক্রির মাধ্যমে করার বিধান রয়েছে। গাছ কাটার আগে তাতে কত সিএফটি কাঠ ও লাকড়ী রয়েছে তাও নিরুপন করার কথা কিন্তু তা যখান করা হয়নি তখন ধরে নিতে হবে এখানে কর্মকর্তাদের বড় ধরনের অনিয়ম রয়েছে।
0Share