আমজাদ হোসেন: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আবারো মেঘনার ভাঙন তীব্র হচ্ছে। নদী ভাঙনের তীব্রতা এত বেশি যে,এলাকাবাসি তাদের ঘর বাড়ি,প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অনত্র সরিয়ে নিতে পারছেনা। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী লুধুয়া বাজার, সাহেবের হাট, তালতলি বাজার, কাদির পন্দিতে হাট, চর ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়, কাদির পন্দিতের হাটট উচ্চ বিদ্যালয়, মাতাব্বর হাট মাদ্রাসা সহ আরও ছোট খাটো স্কুল,বাজার,মসজিদ।
নদীর পাড় থেকে উপজেলা ভবন মাত্র দেড় কিমি দুরত্ব। সাহেবের হাট ইউনিয়ের ৮ টা ওয়ার্ড, কালকিনি ইউনিয়নের ৫ টা ওয়ার্ড, পাটোয়ারীর হাট ইউনিয়নের ৩ টা ওয়ার্ড, মাটিন ইউনিয়নের ২টা ওয়ার্ড গত বছর নদীর গর্ভে হারিয়ে যায়। উপজেলা ৯ টা ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৫ টা ইউনিয়ন মেঘনার ভাঙনে নির্মজিত।
মেঘনার দীর্ঘ দিনের ভাঙনের শত শত পরিবার ভিটে মাটি হারিয়ে উদ্ভাস্তু।তাদের আশ্রয়স্থল রামগতি লক্ষ্মীপুর সড়কের দু পাশ। জানা যায়,২০১৪ সালের ০৫ আগষ্ট মেঘনার ভাঙন রোদে রামগতি-কমলনগরের জন্য ১ শত ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। বরাদ্ধকৃত অর্থ থেকে রামগতি অংশে সেনাবাহিনী ৪ কিমি বাধ নির্মান সম্পূর্ণ হলেও কমলনগর উপজেলা অংশে মাত্র ১ কিমি বাধ নির্মান হয় বির্তকিত ভাবে।
১ কিমি বাঁধ নির্মানের কাজ চললেও বাঁধের দক্ষিন-উত্তরে প্রায় ১৭ কিমি জনপদ নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। স্থায়ীদের মতে, আগামী বর্ষার মধ্যে কমলনগর উপজেলা ভবন, হাজির হাট বাজার, চর লরেন্স বাজার মেঘনার ভাঙনের কবলে পড়তে পারে।
0Share