তাবারক হোসেন আজাদ: মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর প্রথম শ্রেনীর পৌরবাসী। সন্ধ্যার পর থেকে সরকারি হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হোটেলগুলোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বাসা বাড়িতে বসার উপায় থাকে না। মশার উপদ্রবে একদিকে কোন কাজ করা যায় না এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেনি পৌর প্রশাসন। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে পৌরবাসির মাঝে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রথম শ্রেনীর পৌরসভাটি ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। পৌরকার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ন এই শহরের প্রায় সর্বত্রই ময়লা আবর্জনা ও প্রতিটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঝোপঝাড়পূর্ণ হয়ে আছে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার না করা এবং পৌর সভার কার্যালয়ের সামনে ময়লা আবর্জনার স্তুপ থাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড়পূর্ণ থাকায় ও নিয়মিত মশা নিধনে কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার না করায় এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নাগরিকদের।
এদিকে এমন অব্যবস্থাপনার ফলে দিনের পর দিন মশার অত্যাচার বেড়েই চলছে। এতে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের আতঙ্কে রয়েছেন বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মকর্ত-কর্মচারীগন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মশা নিধনের জন্য প্রশাসনকে জানালেও কোনো সুফল আসেনি বলে অভিযোগ কয়েকজন পৌর বাসিন্দা, কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
অপরদিকে রাত্রিকালীন দায়িত্ব পালন করতে মশার কারণে চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হয় বলে জানান শহরের সুনামধন্য তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকার, বাসা ও ব্যাংকের কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী।
জাহেদ হোসেন ও ইমি আক্তার নামে দু’জন শিক্ষার্থী জানান, সন্ধ্যা শুরু হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে যায় সে সঙ্গে মশার উপদ্রুপও বেড়ে যায়। এতে আমাদের লেখাপড়া চরম বিঘœ ঘটে। পৌর প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাই।
শহরের কয়েকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মালিক, এলএম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মার্চ্চেন্টস একাডেমী ও একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী জানান, ‘মশার অত্যাচারে আমাদের কাছে রীতিমত মশা এখন এক আতঙ্কের নাম।
পৌর সভার মেয়র মোঃ ইসমাইল খোকন বলেন, সহসাই মশার উপদ্রব দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share