নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ছাত্রী উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মাহমুদুল হাসান পয়েল (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। ইউপি সদস্য শাহ আলম মোল্লার উপস্থিতিতে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জের মৌলভীরহাটে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শাহ আলম কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতি। আহত পয়েল একই উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে ও তোরাবগঞ্জ আহমদিয়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ছাত্র জানায়, উপজেলার মৌলভীরহাটের সেকান্তরের ছেলে মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এক মাদরাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বন্ধুরা সম্প্রতি মহিউদ্দিনকে মারধর করে। পয়েল ও ওই ছাত্রী একই ক্লাসে পড়ে। পয়েল বিভিন্ন সময় মহিউদ্দিনের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করেছিল। এর জের ধরে শনিবার দুপুরে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মহিউদ্দিনের বাবা সেকান্তর, চাচা মোকাদ্দাস মাঝি ও ইউপি সদস্য শাহ আলমসহ কয়েকজন পয়েলকে তুলে নিয়ে মারধর করে। পরে মৌলভীরহাটে একটি দোকানে তাকে বেঁধে রাখে। বিষয়টি নিয়ে বাড়বাড়ি না করার জন্য হুমকি দেয় ইউপি সদস্য। এ ব্যাপারে মোকাদ্দাস মাঝি বলেন, ছাত্রীর সঙ্গে ঝামেলার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমংসা করার চেষ্টা চলছে। মারধরের ঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না। এদিকে, বক্তব্য জানতে ইউপি সদস্য শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, ঘটনাটি কেউ পুলিশকে জানায়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share