কাজল কায়েস: ছাত্র ছাড়াই চলছে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। আট বছর আগের এ কমিটির অর্ধশতাধিক নেতা এরই মধ্যে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। দলের বদলে তাঁরা এখন পরিবারকেই বেশি সময় দিচ্ছেন। এ ছাড়া অছাত্র, প্রবাসী, ঠিকাদার, পরিবহন ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের ওপর ভর করেই এখন জেলা ছাত্রদল চলছে। এ নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে সম্প্রতি জেলা কমিটি গঠনের তোড়জোড় চলছে। এ দৌড়ে বিতর্কিত নেতারা এগিয়ে রয়েছেন। সাধারণ নেতাকর্মীদের দাবি, নিয়মানুযায়ী ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। মাদকাসক্ত ও আদুভাইদের দিয়ে কমিটি করা হলে দল অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
২০০৯ সালে ছাত্রদলের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ১৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২০১১ সালে সম্মেলন ছাড়াই ওই কমিটির আহ্বায়ক হারুনুর রশিদকে সভাপতি ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মামুনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে তিন বছরের জন্য ১৮১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘১৯৯৯ সালে এসএসসিতে ফেল করা মাদকাসক্ত হাসান মাহমুদ ইব্রাহীমকে দিয়ে গোপনে কমিটি গঠনের চেষ্টা চলছে। বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি হলে নেতাকর্মীরা তা মেনে নেবে না।’ জেলা কমিটির সহসভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহীম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ কথা বলছে। আশা করি, প্রকৃত ছাত্রদের নিয়েই নতুন কমিটি গঠিত হবে।’
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম মামুন বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এত দিন কোনো নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে শিগগিরই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে এত দিন নতুন কমিটি করা সম্ভব হয়নি। তবে এরই মধ্যেই প্রস্তাবিত কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করেই নতুন কমিটি গঠন করা হবে।’
0Share