লক্ষ্মীপুরে হোগলা পাতা ও এ থেকে সংগৃহীত গুড়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দুর্গম চরাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে হোগলা পাতা। তা বাজারে বিক্রি করছেন লাভবান হচ্ছেন দরিদ্র কৃষক। লক্ষ্মীপুরের চরাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে এক চর থেকে অন্য চরে পড়ে সৃষ্টি হয় বাগান। এ থেকে সংগৃহীত পাতা ও হোগলা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
হোগলা পাতা থেকে উৎপাদিত হয় এক ধরনের পাউডার। স্থানীয় ভাষায় যা হোগল নামে বেশী পরিচিত।
কৃষক জানান, হোগলা পাতা থেকে তৈরি পাউডারের পুষ্টিগুণ প্রচুর ও সুস্বাদু হওয়ায় রয়েছে চাহিদাও। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে হোগলা পাতার ফুল থেকে গুড়া সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন। বাজারে প্রতি কেজি হোগলের গুড়া একশ’ ৬০ থেকে একশ’ ৮০ টাকায় বিক্রি করেন কৃষক।
সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়া হলে সারাদেশে হোগলা পাতা ও এর গুড়া বাজারজাত করা সম্ভব, জানিয়েছেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এ টি এম খুরশেদ আলম।
তিনি বলেন, হোগলা পাতার ফুল থেকে যে পাউডারগুলো হয় সেটিই হোগলের গুড়ি। এটি চকচকে হলুদ রঙের হয়। এ গুড়োটি খুব পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার। হোগলের গুড়া দিয়ে এখানে জনপ্রিয় একটি কেক তৈরি হয়।
জেলার রায়পুর উপজেলার চরপাতা, সদর উপজেলার পশ্চিম চর রমনীমোহন ও মধ্যম চর রমনীমোহনে হোগলা পাতা বেশী উৎপাদিত হচ্ছে।
0Share