নিখোঁজের ৫দিন পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহীর পূর্ব সৈয়দপুর এলাকা থেকে বস্তাবন্দি যুবক মেহেরাজ হোসেনের লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার ভোরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মেহেরাজ হোসেন নোয়খালীর সুধারাম থানার উত্তর হুগলী গ্রামের শাহজাহানের ছেলে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে মেহেরাজ হোসেন মোটরসাইকেল যোগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দাসেরহাট এলাকায় আসে। এরপর থেকে মেহেরাজ হোসেন নিখোঁজ হয়। এরপর মেহেরাজের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবী করা হয়।
এ ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারি মেহেরাজ হোসেনের ভাই মাহাবুব হোসেন বাদী হয়ে সুধারাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর সুধারাম থানা পুলিশ তাদের কোন সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহীর পূর্বসৈয়দপুরের টক্কার পোল এলাকায় বস্তাবন্দি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে স্বজনরা এসে মেহেরাজের লাশ সনাক্ত করে।
শুক্রবার দুপুরে সদর হাসপাতালের সামনে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, নিখোঁজের পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন সহযোগিতা পায়নি। মেহেরাজ হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে খালে পেলে দেয়। এ হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনা তদন্তদ চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share