ভারত জুড়ে টানা বৃষ্টি ও বন্যার জলে ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্ত ২১টি জেলা। প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত।
ভারতের পানির চাপে বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো ফুঁসে উঠেছে। দ্রুত বাড়ছে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের যমুনা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ অন্তত ১০টি ছোট বড় নদীর পানি। এ কারণে সারাদেশে বন্যা হওয়ার একটা আশংকা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর নোয়াখালীর কাছের জেলা ফেনীতেও বন্যা চলছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আজ শনিবার সকালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উত্তরা, উত্তর পূর্ব, দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের সিকিম, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল, আসম, ও মেঘালয়ের ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য দেশের সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান বড় নদী মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেলেও এর প্রবাহ পরিমাপের কোনো যন্ত্র, স্কেল কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থাও নেই। মেঘনা নদীর পানির বিপদসীমার নির্ণয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই, গত মে মাসে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই সময়ে তিনি দ্রুত মেঘনা নদীর পানির উচ্চতা পরিমাপের যন্ত্র স্থাপন করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
উপকূলীয় জেলা হিসেবে এ জেলার কমপক্ষে ৫টি পয়েন্টে বন্যার পানি মাপার যন্ত্র স্থাপন করা জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ।
0Share