উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর স্থানীয় আবহাওয়া বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের জন্য লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চর সেকান্তর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় ১ম শ্রেনীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার। ২০০২ সালে স্থানীয়দের দান করা দেড় একর ভূমির ওপর সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন করা হয়।
কিন্তু স্থানীয়দের প্রশ্ন রামগতির আবহওয়া কেন্দ্রটি লক্ষ্মীপুরবাসীর কি কাজে লাগে ?
কেন্দ্রটিতে লোকবল নিয়োগ, দুটি ভবন নির্মাণ এবং যন্ত্রপতি সবই স্থাপন করা হয়েছে। ২জন কর্মকর্তা ও ২ জন আনসার সদস্য অফিসের কাগজপত্রে কর্মরত রয়েছে। কর্মকর্তারা কেন্দ্রটি গত ২০১৭ সালে চালু হয়েছে বলে দাবি করেন।
অভিযোগ রয়েছে প্রশাসন এবং জেলার অনেক গণমাধ্যম ও জানে না যে লক্ষ্মীপুরে একটি সচল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, সরকারের বিপুল ব্যয়ে নির্মিত এ প্রতিষ্ঠান থেকে আজ পর্যন্ত কোন জনগণ বা জেলেরা কোন ধরনের সেবা পায়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছেন, তথ্য না পাওয়ার প্রধান কারণ আনসার সদস্য ছাড়া অন্য যে ২ জন কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন তারা কর্মস্থলে থাকেন না । কর্মকর্তারা অফিস করেন না, কালে-ভদ্রে কি কারণে যেন আসেন।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে লক্ষ্মীপুরসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি হওয়ায় পর এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানার জন্য শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে এ অফিসে গিয়ে একজন আনসার সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে দেখা যায়নি। পরে এ অফিসের প্রধান কর্মকর্তা সিনিয়র ওয়েদার অবজারভার মোঃ সোহরাব হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঢাকায় রয়েছেন বলে জানান।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এগিয়ে আসায় সরকার শুক্রবার এক অফিস আদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের ২৮ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশ দিয়ে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে।
জানা যায়, অফিসে লোকবল হিসেবে রয়েছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র ওয়েদার অবজারভার ১ জন এবং বেলুন মিকার-১ জন গার্ড-২ জন (আনসার)।
আনসার সদস্য মোঃ ছালা উদ্দিন জানান, এ অফিসে স্থাপিত যন্ত্রপাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে বেলুনমিটার, উইন্ডরান, ডিজিটাল বেরোমিটার(রেইনগ্যাজ), অত্যাধুনিক কম্পিউটার, ড্রাই বাল্ব, ওয়েট বাল্ব, থার্মোমিটার ইন্ডিকেটর।
দূর্যোগের সময় কোন ধরনের কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন প্রশ্নে প্রধান কর্মকর্তা সিনিয়র ওয়েদার অবজারভার মোঃ সোহরাব হোসেন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এ বিষয়ে রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শনিবার সরেজমিনে ওই কেন্দ্রে গিয়ে তথ্য নিবেন বলে জানান।
0Share