বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীসহ সারাদেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে শুক্রবার(৩ জানুয়ারি) বেলা ১০টার পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে দুপুরের পর থেকে মুষলধারের বৃষ্টির পরিমাণ এত বেশি বৃদ্ধিপায় যে, স্থানীয়দের অনেকের কাছে পৌষ মাসকে শ্রাবণ মাসের মতো মনে হয়েছ বলে জানান কেউ কেউ।
কয়েক ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে লোকজন একেবারে ঘরে বন্দী হয়ে পড়ে। এতে শীত-বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিকেল সাড়ে চারটায় এ সংবাদ লেখার সময়ও বৃষ্টি চলছিল। মাঝে মাঝে আকাশে শব্দ ও করছিল।
শুক্রবার বিকেলে সাড়ে চারটায় লক্ষ্মীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রী।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টি থাকতে পারে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। তখন আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। এর আগে গত ২৬-২৭ ডিসেম্বর দুদিনের বৃষ্টির পর দেশব্যাপী শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিপায়।
বাংলানিউজের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি সাজ্জাদুর রহমান লক্ষ্মীপরটোয়েন্টিফোরকে বলেন, শীতের সময় বৃষ্টির কারণে শীত আরো বেড়েছে। তিনি আরো জানান, শীত আর বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে, বিশেষ করে গরিব মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে স্থানীয় ভাবে জানা যায়, বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় এলাকার নিচু জমি ও শীতকালীন সবজি ক্ষেতে পানি জমে গেছে। সয়াবিন চাষের জন্য প্রস্তুতকৃত জমিতে পানি জমে সয়াবিন চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানান, কমলনগরের সয়াবিন চাষী ও পল্লী চিকিৎসক মোঃ আলী হোসেন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অনেক জায়গা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
0Share