করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া লক্ষ্মীপুরের সংস্কৃতিককর্মীদের মাঝে প্রধান মন্ত্রীর প্রদত্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (৮মে) লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, লক্ষ্মীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মোঃ মাইন উদ্দিন পাঠানের হাতে জেলার ৫৮জন সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
এর কয়েক দিন আগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপুর আরো ৩০জন সংস্কৃতিকর্মীকে খাদ্য সহায়তা দেন বলে জানা গেছে।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, লক্ষ্মীপুর জেলা রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলনী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া তপন ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেবনাথ, খেলাঘর জেলা সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম, লক্ষ্মীপুর শিল্পী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাংস্কৃতিক কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন আরজু, নজরুল সংগীতশিল্পী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান সাগর, বিশিষ্ট সঙ্গীত প্রশিক্ষক যদু গোপাল দাস, অলক কর, জাতীয় কবিতা পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট যন্ত্রশিল্পী মোঃ ওয়াহিদ উদ্দিন মুরাদ, বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী ইসমাইল হোসেন সুজনসহ সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারার শিল্পী, যন্ত্র সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও অভিনয়কলা শিল্পীগণ এবং স্থানীয় বিশিষ্ট সংস্কৃতিজনরা।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালে লক্ষ্মীপুর জেলার ১০ হাজার আর্থিকভাবে অসচ্ছল কর্মহীন মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী (খাদ্য সহায়তা) পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। তৎপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রায় ৭ হাজার জনকে “প্রধানমন্ত্রীর উপহার” প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বান্ধব সরকার। এই সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতি চর্চা এবং সংস্কৃতিজনদের খুবই ভালবাসেন। বিভিন্ন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সংস্কৃতি ব্যক্তি ও সংগঠনের মাঝে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তুলে দিয়েছেন। লক্ষ্মীপুর জেলার দীর্ঘদিন সংস্কৃতি চর্চা ও সংস্কৃতি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সম্মানিত সংস্কৃতিজনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি।
লক্ষ্মীপুরের বিশিষ্ট সংস্কৃতিজন প্রফেসর মোঃ মাইন উদ্দিন পাঠান বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময় সংস্কৃতি চর্চা এবং সংস্কৃতিকর্মীদের প্রাধান্য দিয়ে আসছে। লক্ষীপুরের সংস্কৃতি কর্মী ও সংস্কৃতি চর্চায় যারা দীর্ঘদিন অবদান রেখেছেন তাদেরকে যে মূল্যায়ন করা হয়েছে এতে আমরা আনন্দিত এবং উদ্দীপ্ত। আগামী দিনে এই দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে আমরা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আরো বেগবান হবো এবং অনন্যসাধারণ ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
0Share