মোঃ ফারুক হোসেন: শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়ার কয়েক ঘন্টা লাশ বিছানায় পড়ে থাকার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান। এসময় করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফনে অংশগ্রহনকারী দলের সদস্য শাহ আলম সাহেদকে দিয়ে পরীক্ষা করে জানা যায়, বিছানায় শায়িত ব্যক্তির অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, মোহাম্মদ সোলেমান হোসেন (৫৫)। গ্রামের বাড়ী যশোরের ফুলবাড়িয়া। অলিম্পিক কনজ্যুমার লিঃ এ মাঠকর্মী হিসাবে চাকুরীর সুবাদে রামগঞ্জ সোনাপুর সড়কের মৌলভী বাজারের ইব্রাহীম মিয়ার মেসে ভাড়া থাকতেন।
বুধবার সকালে সহকর্মী আবদুর রশিদসহ অন্যরা বিভিন্ন বাজারে মালামাল নিয়ে চলে গেলেও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ্য সোলেমান হোসেন রুমে রয়ে যান। দুপুরে একই ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা সোলেমান হোসেনের রুমের দরজা খোলা থাকার পরও কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমে গিয়ে দেখেন অচেতন অবস্থায় সোলেমান হোসেন বিছানায় পড়ে আছেন।
এসময় তারা অন্য সহকর্মীদের খবর দিলে তারা রুমে এসে দেখেন সোলেমান হোসেন শরীর ঠান্ডা হয়ে আছে। সহকর্মী আবদুর রশিদ জানান, আমরা খবর পেয়ে রুমে এসে দেখি সোলেমান ভাই মারা গেছেন। বিকাল ৩টায় রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোন দিলেও প্রায় ৩ঘন্টা তারা আসবো আসছি করে সময় পার করেন।
এসময় তিনি আরো জানান, আমরা সোলেমান হোসেনের পরিবারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তার স্ত্রী মোবাইলে জানান, তার স্বামীর ছোটবেলা থেকেই শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তারা গ্রামের বাড়ী থেকে রামগঞ্জে রওনা দিয়েছেন।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা সন্ধা ৬টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এস আই হুমায়ুন কবীরসহ কয়েকজন পুলিশ পাঠিয়েছি। লাশ উদ্ধারের পর ও হসপিটাল থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার জানান, আমরা খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের জন্য ডাক্তার কামাল হোসেনসহ অন্যদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তবে কয়েকঘন্টা আগেও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে দেরি হওয়ার ব্যপারে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, আমি লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা আছে কি না খবর নিতে গিয়ে জানতে পারি মৌলভী বাজার সড়কের ঐ ভবনের ২য়তলার একটি রুমে একজন লোক অচেতন হয়ে পড়ে আছেন।
এসময় আমি ভবনের ২য়তলায় গিয়ে আমার সাথে থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীর দাফনকারী দলের সদস্যকে দিয়ে পরীক্ষা করে জানতে পারি তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। খবর দেয়া হয় পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে।
0Share