আজ পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। আর কোরবানির ঈদে খুশি যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। কারণ এই ঈদে কমবেশি সবাই চেষ্টা করেন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি দিতে। সবাই যার যার সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করে থাকেন। তবে কোরবানির পশু কেবল জবাই দিলেই হবে না। জানতে হবে পশু কোরবানির আগে ও পরে কিছু সতর্কতা। চলুন তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
পশু জবাইয়ের পর যা করবেন
>> প্রাণীর ধমনী যাতে পুরোপুরি কাটা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রাণী জবাইয়ের পর পুরোপুরি ব্লিডিং হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জবাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে মাংস কাটা শুরু করা হলে মাংসের ভেতর রক্ত থেকে যাবে। এ ধরনের মাংস মোটেও স্বাস্থ্য সম্মত নয়, কারণ রক্তে অনেক ধরনের জীবাণু থাকতে পারে।
>> সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে চামড়ার ক্ষতি ও গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে পশুর চামড়াকে রক্ষা করতে বর্তমান বিশ্বে সাধারণত ড্রাই ট্রিটমেন্ট, সল্ট ট্রিটমেন্ট ও ফ্রিজিং করে চামড়া সংরক্ষণ করা হয়।
>> কোনো এলাকার লোকজন বিচ্ছিন্ন স্থানে কোরবানি না দিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে একস্থানে কোরবানি করা ভালো।
>> কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়। আর জায়গাটি রাস্তার কাছাকাছি হলে বর্জ্যের গাড়ি পৌঁছানো সহজ হবে। কোরবানির পর পশুর রক্ত ও তরল বর্জ্য খোলা স্থানে রাখা যাবে না। এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে মাটিচাপা দিতে হবে। কারণ রক্ত আর নাড়িভুঁড়ি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর যদি রক্ত মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হয়, তাহলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
>> যারা চামড়া কিনবেন, তারা কোনো বদ্ধ পরিবেশে চামড়া পরিষ্কার না করে এমন খোলামেলা স্থানে করতে পারেন, যেখানে ময়লা জমে দুর্গন্ধ হবে না। আর চামড়ার বর্জ্য অপসারণের জন্য জমিয়ে রাখতে হবে।
>> সর্বশেষে কোরবানির পশুর বর্জ্য নিজের উদ্যোগে পরিষ্কার করুন। তবেই পরিবেশ ভালো থাকবে। সুস্থ থাকবেন আপনিও।
0Share