প্রেমের টানে শাকিলের হাত ধরে ঘর ছাড়ে জেরিন। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন তারা দুইজন। ঘটনার দুইদিনের মাথায় পারিবারিকভাবে বিবাহ মেনে নেয়ার আশ্বাসে স্ত্রীকে নিয়ে এলাকায় ফিরে আসে শাকিল। পরে দশদিনের মধ্যে সামাজিকভাবে অনুষ্ঠানের আশ্বাসে মেয়েকে নিয়ে আতœগোপনে চলে যান মা নুর জাহান বেগম। এদিকে স্ত্রীকে না পেয়ে দিশেহারা শাকিল, আর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ী থেকে বের হতে পারছে না তার পরিবার।
ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে ঘটেছে। শাকিল কুমার বাড়ীর আব্দুর রহিমের ছেলে ও জেরিন একই গ্রামের এক প্রবাসীর মেয়ে ও আয়েশা মহিলা কামিল মাদ্রাসার ছাত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গেলো বুধবার (১২ জানুয়ারী) সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার নাম করে শাকিলের সাথে সংসার বাধার স্বপ্নে ঢাকায় পাড়ি জমায় জেরিন। মাদ্রাসা থেকে বাড়ী না ফেরায় জেরিনের মা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে বেরিয়ে আসে প্রকৃত ঘটনা। ঘটনার একদিন পর পারিবারিকভাবে বিয়ে মেনে নেয়ার আশ্বাসে জেরিনকে নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসে শাকিল। থানার সাধারণ ডায়েরিও প্রত্যাহার করেন জেরিনের মা নূর জাহান বেগম।
এবিষয়ে জানতে জেরিনের মা নূর জাহান বেগমের বাড়ীতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ ডায়েরিতে ব্যবহৃত দুইটি নাম্বার দেয়া হলেও একটি বন্ধ ও অপরটি তাদের অপরিচিত এক মাদ্রাসা শিক্ষকের। এখানেও জেরিনের মা নিয়েছেন প্রতারণার আশ্রয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন খাঁন জানান, পারিবারিকভাবে বিবাহ মেনে নেয়ার আশ্বাসে তারা দুইজন এলাকায় আসে। কিন্তু এখন জেরিনের মা মেয়েকে নিয়ে কোথায় চলে গেছে।
ভুক্তভোগী শাকিল জানায়, তার শ্বাশুড়ী তার সাথে প্রতারণা করেছে। তার স্ত্রীকে সে ফেরত চায় এবং অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের মহড়া ঠেকাতে প্রশাসনের সহযোগিতা চান এই পরিবারটি।
দত্তপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন তিনি।
0Share