নড়াইলে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ লক্ষ্মীপুর শাখা। শনিবার বিকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ, ছাত্র ঐক্য পরিষদ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও যুব ঐক্য পরিষদ লক্ষ্মীপুর শাখার উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি এডঃ রতন লাল ভৌমিক সভাপতিত্বে এসময় সরকারী দল প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের দাবী জানান বক্তারা।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেবনাথ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নতুন কিছু নয়। এর পূর্বেও আমরা এ ধরনের হামলা দেখেছি, যা অনভিপ্রেত এবং অগ্রহণযোগ্য। ইতোপূর্বে ঘটে যাওয়া একইধরনের অপরাধের দৃশ্যত কোনও বিচার দ্রুততম সময়ে না হওয়ায় অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এডঃ জহর লাল ভৌমিক, সদস্য এডঃ শৈবাল কান্তি সাহা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম মজুমদার, পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন চন্দ্র নাথ, যুব ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা, আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডঃ প্রিয়লাল নাথ, কমলনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডঃ মিলন মন্ডল, রামগঞ্জ উপজেলার সভাপতি অপূর্ব সাহা অপু, সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিপন মজুমদার, রায়পুর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শংকর মজুমদার,মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ভানু নাগ, যুব ঐক্য পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি রাজবিজয় চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ঝুটন কুরী ও ছাত্র ঐক্য লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি শশাঙ্ক মজুমদারসহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, গেলো শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেইসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে দিঘলিয়ার সাহা পাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এক কলেজছাত্রের ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দিঘলিয়ায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। বিকালে উত্তেজনা আরও বাড়ে এবং সন্ধ্যায় তারা সাহাপাড়ার কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করে। পরে টিনের একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
0Share