লক্ষ্মীপুরে নির্মিত হয়েছে পরিবেশ বান্ধব ব্লকের তৈরি রাস্তা। গ্রামিণ সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্প (Villege Road Rehabilitation Project) VRRP এর আওতায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে এ সড়কটি। দৃষ্টি নন্দিত ও পরিবেশ বান্ধব ব্লকের তৈরি এ সড়কে পাল্টেছে গ্রামিণ জনপদের দৃশ্যপট। দুই ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি এখন কয়েক ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর ডিএসএমইউ কামিল মাদ্রাসার পাশ থেকে শুরু হয়ে দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড়ালিয়া মাদ্রাসার পাশে গিয়ে পাকা সড়কের সাথে এ দুই কিলোমিটার ব্লকের সড়কটি শেষ হয়। এ নজর কাড়া ব্লকের সড়কে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এর আগে এ পাকা সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এ পথে যাতায়াতকারীদের। বশিকপুর, দত্তপাড়া, মিত্রের বাজার, পোদ্দার বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে যাতায়াতের সহজ রাস্তা এটি।
বশিকপুর বাজারের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল চন্দ্র ক্বুরী জানালেন, এ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় চার কিলোমিটার ঘুরে লক্ষ্মীপুর যেতে হতো। এখন ব্লকের রাস্তায় চলাচল অনেক সময় সাশ্রয় ও স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করছেন তিনি।
এ সড়কে চলাচলকারী অটোরিক্সা চালক শাকিব, সিএনজি চালক রাকিব জানান, কার্পেটিং রাস্তা থেকে ব্লকের রাস্তা অনেকটা টেকসই মনে হচ্ছে। দুই মাস পার হলেও ব্লকের রাস্তা এখনো ঝকঝক, এর দৃষ্টিনন্দিত রং দূর্ঘটনা এড়াতে সহায়তা করবে। কার্পেটিংয়ের রাস্তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, এতে গাড়ী ও শরীর দুটোতেই কষ্ট হয়। ব্লকের রাস্তা অন্যান্য জায়গায়ও নির্মাণের দাবি জানান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, ব্লকের রাস্তায় পানি জমে না, এর পানি শোষণ ক্ষমতা বেশি বলে তারা মনে করেন।
ব্লকের কাজটি পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস.এস.বিল্ডার্স। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী পারভেজ হোসেন জানান, কার্পেটিং রাস্তা থেকে ব্লকের রাস্তা পরিবেশ বান্ধব, মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী। তবে ব্লকের কাজের শ্রমিক উত্তরবঙ্গ ও ব্লক ঢাকা রূপগঞ্জ থেকে আনতে হওয়ায় কাজে এমন লাভ না হলেও কাজটি করে তিনি আনন্দিত। তবে পুকুর পাড়সহ ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে বাঁধ নির্মাণের বরাদ্দ না থাকায় ব্লকের রাস্তা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মনে করেন এই ঠিকাদার।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ব্লক দিয়ে দুই কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামিণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্লকের সড়কটি অনেক টেকসই হবে বলে মনে করেন তিনি।
0Share