তিন বছরের শিশু সাহেরা সুলতানা মুনতাহা। ভাইবোন তিনজনের মধ্যে সে সবার ছোট। খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করার পরামর্শ দেয়ায় বড় বোনের সহপাঠীর সহযোগিতায় অপহরণের শিকার হয় মুনতাহা। এদিকে আট বছরের শিশু মনির হোসেন তার পরিবারকে হারিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে চলে আসে। পৃথক দুইটি ঘটনার অল্প সময়ে পুলিশ সন্তান দুইটিকে উদ্ধার করে মা ও তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন।
অপহৃত মুনতাহা শাকচর ইউনিয়নের হাজী মোখলেছ সাহেবের বাড়ীর বেল্লাল হোসেনের মেয়ে ও উদ্ধারকৃত মনির হোসেন ভবানিগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে।
দুইটি ঘটনায় পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ ও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনসহ প্রশাসনের একাধিক টিম উদ্ধার অভিযানে কাজ চালান।
দুই ভিকটিমের পরিবারের স্বজনরা ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানায়, বড় মেয়েকে খারাপ সঙ্গের সাথে চলাফেরা করতে নিষেধ করে পরিবারের লোকজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বান্ধবী একই বাড়ীর চৈতি ও হাবিবুর রহমানের ছেলে মিনহাজ গেলো রোববার (৩০ অক্টোবর) রাতে তিন বছরের মেয়ে মুনতাহাকে অপহরণ করে। এঘটনায় মুনতাহার মা সালমা বেগম বাদি হয়ে পরদিন সোমবার (৩১ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মুনতাহাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন।
এদিকে সোমবার (৩১ অক্টোবর) নিখোঁজ শিশু মনির হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের সামনে অভিভাবকহীনভাবে ঘোরাফেরা করলে তাকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ। সে সময় মনির শুধুমাত্র একটি স্কুলের নাম ছাড়া কিছুই বলতে না পারায় তার আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। পরে ওই শশুর পরিবারের সদস্যরা জেলা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ। এসময় পুলিশ সুপার শিশুটিকে প্রয়োজনীয় কিছু খাবার এবং শিশুর স্কুলে যাতায়াতের জন্য স্কুল ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস ক্রয় করার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
পুলিশের এধরনের তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভিকটিমগুলোর পরিবার ও তাদের স্বজনরা, জেলা পুলিশের কর্ণধার এসপি মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফের তাৎক্ষণিক কার্যকর উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই প্রশংসার জোয়ার বইছে।
0Share