লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি উপজেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরব্যাপী বিনামূল্যে দুধ পান করানোর পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) উপজেলা পরিষদ হল রুমে ওই প্রকল্পের আওতায় “স্কুল মিল্ক ফিডিং কর্মসূচি ” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষক, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও অভিভাবকদের ‘’পুষ্টি ও পরিবেশ সচেতনতা’’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদা সুলতানা।
উক্ত প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামনাশিস মজুমদার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)আজিজুর রহমান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচিত কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্ প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণির ১৫০জন শিক্ষার্থীকে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে টিফিনের সময় ২০০ মিলি করে দুধ পান করানো হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করছে। একটি জাতি মেধাবী না হলে সে দেশ কোনদিন এগিয়ে যেতে পারে না। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ভালো খাবার প্রয়োজন। এরমধ্যে অন্যতম প্রধান খাদ্য দুধ। নিয়মিত দুধ খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণিজ পুষ্টির যোগান পাবে, সুস্থ-সবলভাবে বেড়ে উঠবে। যার মাধ্যমে একটি মেধাবী জাতি গড়ে উঠবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধের গুরুত্ব অনুধাবন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কোমলমতি শিশুদের মাঝে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর দুধ সরবরাহের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ, সবল ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার এক নতুন অধ্যায় সংযোজন হবে। যা আগামী দিনে শিশুদের বিদ্যালয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে দরিদ্র অঞ্চলে স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে এ কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা/23/03
0Share