লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনরোধে “রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদির পন্ডিতেরহাট এলাকা ভাঙ্গন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ” প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন এমপি।
শুক্রবার ( ০৮ মার্চ) সকালে উপজেলার আসলপাড়ায় চলমান নদী বাঁধের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন তিঁনি। এসময় লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামান খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ, পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আ ম ম নঈম এবং তনয় রায় চৌধুরী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনে এসে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত প্রচেষ্ঠায় আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের নদীভাঙ্গা মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা ভেবে এই প্রকল্পের জন্য একনেক সভায় তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এখন ওই প্রকল্পটি বাংলাদেশ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) বাস্তবায়ন করছে।
এসময় তিঁনি ঠিকাদারদের মূল কাজ করার পাশাপাশি বর্ষা মওসুমে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত: মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, বাজারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন থেকে রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছেন। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনরোধে “রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদির পন্ডিতেরহাট এলাকা ভাঙ্গন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ” নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিগত ২০২১সালের ১লা জুন একনেক সভায় তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অনুমোদন হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) দরপত্র আহবানসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা-03-24
0Share